মালদা, 16 মে : বেশ কিছুদিন ধরে রতুয়ার ফুলহর নদীর ধার থেকে বালি চুরির খবরে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে ৷ এই ঘটনা নিয়ে এলাকার বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় সরাসরি রতুয়া থানার আইসির বিরুদ্ধে বালি মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন ৷ বিষয়টি নিয়ে সমরবাবুর সঙ্গে ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হকের বাকযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ এমনকি সমরবাবুকে সমর্থন করে ফজলুল সাহেবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন খোদ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বকসি ৷ এমনকি বিষয়টি তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব পর্যন্ত গড়িয়েছে ৷ এ বার অবশেষে ফুলহর নদী থেকে বালি চুরি বন্ধ করতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রতুয়া থানার পুলিশ ৷ নদীর উপর নির্মিত নাককাট্টি ব্রিজ-সহ দু’দিকের রাস্তার অনেকটা অংশ মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভির নজরদারিতে ৷ আকাশপথে ড্রোনের মাধ্যমে চলছে নজরদারি (CCTV and Drone Surveillance to Stop Sand Theft from Phulhar River) ৷
সম্প্রতি রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ফুলহরের নাককাট্টি ব্রিজের নীচ থেকে বালি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে মাফিয়ারা ৷ তারা নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বালি চুরি করছে ৷ এই ঘটনা রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকারের বিরুদ্ধে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ করেন বিধায়ক ৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তোলপাড় পড়ে যায় জেলা পুলিশ প্রশাসনে ৷ ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সুবীর কর্মকারকে ৷ তিনি রতুয়া থানা থেকে বদলি নেওয়ার তদ্বিরও শুরু করেন ৷ তবে, শেষ পর্যন্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের আবেদনে সাড়া দিয়ে বেশ কয়েকদিন পর কাজে যোগ দেন আইসি ৷ থানায় তাঁকে সংবর্ধনা জানান ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক-সহ এলাকার আরও কিছু তৃণমূল নেতা ৷
আরও পড়ুন : Illegal Land Occupy : মালদায় জমি দখলদারি, নিজেকে তৃণমূল বলতে 'লজ্জা লাগছে' নেতার