পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

Bad Road Condition : 3 বছর পার, পঞ্চায়েতের আশ্বাস সত্ত্বেও ঝাঁঝরা গ্রামের কাঁচা রাস্তা হয়নি পাকা

মাটিতে চাপা পড়েছে কাঁচা রাস্তা পাকা করার ফলক । রাস্তায় এখনও ধুলো-কাদা জমে প্রতিনিয়ত (Bad Road Condition) । এভাবেই পেরিয়েছে প্রায় তিনটি বছর । রাস্তার জন্য প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন ।

Bad road condition of Jhanjhra village in Malda
Bad Road Condition

By

Published : May 11, 2022, 5:50 PM IST

মালদা, 11 মে :কাঁচা রাস্তা পাকা হওয়ার কথা ছিল । তার জন্য 100 দিনের কাজ প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছিল 33 লক্ষের বেশি টাকা । ঢাকঢোল বাজিয়ে কাজের ফলকও লাগানো হয়েছিল । গ্রামবাসীরাও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন । বৃষ্টির মধ্যে আর কাদা মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হবে না । এভাবেই পেরিয়েছে প্রায় তিনটি বছর । কাজের ফলক মাটিতে মিশে যাওয়ার দশা । রাস্তায় এখনও ওড়ে ধুলো, জমে কাদা । কিন্তু সরকারি বরাদ্দের টাকা কোথায় গেল ? গ্রামবাসীরা আঙুল তুলছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য আর প্রধানের দিকে । এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য আবার পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা । তাঁর সাফ কথা, এবারও বর্ষায় ভুগতে হবে গ্রামবাসীদের । রাস্তা এখনই হচ্ছে না । কবে হবে, সেটাও জানা নেই । তবে সরকারি বরাদ্দের বিষয় নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি (Bad road condition of Jhanjhra village in Malda)।

পঞ্চায়েতের আশ্বাস সত্ত্বেও ঝাঁঝরা গ্রামের কাঁচা রাস্তা হয়নি পাকা

ঘটনাস্থল পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাঁঝরা গ্রাম । 2019-20 অর্থবর্ষে গ্রামে শ’দেড়েক মিটার ঢালাই রাস্তার কাজ 100 দিন প্রকল্পে বরাদ্দ হয় । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেই কাজের জন্য সিমেন্ট-পাথর-বালিও পড়েছিল । কিন্তু কোনও অজানা কারণে সেসব ফের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় । রাস্তার জন্য তাঁরা বারবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধানের কাছে দরবার করেছেন । গ্রামে আয়োজিত 'পাড়ায় সমাধান' বৈঠকেও তাঁরা বিষয়টি তোলার চেষ্টা করেছিলেন । কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্য তাঁদের মুখ বন্ধ করে দেন । এত কিছু হয়েছে । শুধু রাস্তাটাই পাকা হয়নি ।

গ্রামের বাসিন্দা সুনীল মাল বলছেন, "পঞ্চায়েত সদস্যের লোক রাজু দত্ত বলেছিল, গ্রামে ঢালাই রাস্তা হবে । আমরা তাঁর সঙ্গে সবসময় ছিলাম । যেখানে ডাকত, যেতাম । কিন্তু সে অর্ধেক রাস্তা করলেও বাকিটা করেনি । সম্প্রতি বিডিও যখন গ্রামে বৈঠক করতে বসলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে বলতে চেয়েছিলাম । কিন্তু রাজু দত্ত আমাদের মুখ বন্ধ করে দেয় । কিছু বলতে দিল না । বরাদ্দ টাকার কী হয়েছে জানি না । তবে দেখেছি, রাস্তার জন্য পাথর, সিমেন্ট, বালি সবই পড়েছিল । কিন্তু সেসব নিয়ে চলে যাওয়া হল জলঙ্গা গ্রামে । আমরা এই রাস্তা চাই । রাস্তা না থাকায় আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে ।" অপর গ্রামবাসী পাঞ্ছি রায় বলেন, "মেম্বার আর প্রধান এই রাস্তার টাকা খেয়ে নিয়েছে । তাই রাস্তা ঢালাই করছে না । ভোটের সময় এরা সব দৌড়ে আসে । নানা সম্বোধন করে । এবার ভোটের সময় আসলে এদের ঝাঁটাপেটা করব । রাস্তার কাজের বোর্ড লাগিয়েছিল । সেটা মাটির নীচে চলে গিয়েছে । বৃষ্টি হলেই রাস্তায় কাদা জমে যায় । আমরা শুধু এই রাস্তাটা চাইছি । আর কিছু চাই না ।"

তিন বছর পরও ঝাঁঝরা গ্রামের কাঁচা রাস্তা হয়নি পাকা

এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তথা মঙ্গলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা গৌতম দাসের বক্তব্য, "2019-20 অর্থবর্ষে আমি 100 দিন প্রকল্পে যে কাজ পেয়েছিলাম, তার মধ্যে ঝাঁঝরা গ্রামে দুটি রাস্তা দিয়েছিলাম । কাজের টেন্ডার হয়েছিল । ঠিকাদার সংস্থাকে কাজের ওয়ার্ক অর্ডারও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল । সম্প্রতি পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে ঝাঁঝরা ও ঝিমুলি গ্রাম কয়েকশো মিটারের একটি রাস্তা পায় । আমি কথা বলে ঝাঁঝরা গ্রামের ওই রাস্তাটাকে এই প্রকল্পে ঢুকিয়ে দিই । সেখানে 90 শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে । কিন্তু একটি গলি রাস্তা বাকি থেকে গিয়েছে । অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, সি কোডে ওই রাস্তাটা আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । সেকারণে এই কাজ করা যাচ্ছে না । এনিয়ে আমি বিডিওর সঙ্গেও কথা বলেছি । এবার বর্ষায় ওই গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যা পোহাতে হবে । আমি চেষ্টা করছি, চলতি অর্থবর্ষে যেন কাজটি করে ফেলা যায় ।"

আরও পড়ুন :Flood Relief Scam : বন্যা ত্রাণের টাকা বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ, জানাজানি হতেই টাকা ফেরতের হিড়িক !

পঞ্চায়েত প্রধান রুলেখা বিবি বলেন, "এই কাজ যখন বরাদ্দ হয় তখন আমি প্রধান ছিলাম না । তবে আমি জানতে পেরেছি, এই রাস্তাটির কাজ বাকি থেকে গিয়েছে । রাস্তাটি ঢালাই করা যায় কি না, তা দেখছি ।"

For All Latest Updates

ABOUT THE AUTHOR

...view details