মালদা,12 মে : হরিশ্চন্দ্রপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষ হওয়া চণ্ডীপুর গ্রামে সাংসদ খগেন মুর্মুকে যেতে দিল না পুলিশ ও প্রশাসন৷ আজ মাঝ রাস্তাতেই সাংসদকে আটকে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও এনিয়ে কোনও বিরোধিতায় যাননি খগেন মুর্মু ৷ পুলিশ ও প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে এলাকা থেকে ফিরে এসেছেন তিনি৷ তবে প্রশাসনের কাছে তাঁর আবেদন, ওই গ্রামে কিছু মানুষের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে৷ সেই ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক প্রশাসন৷
উল্লেখ্য, কোরোনা আতঙ্ক নিয়ে গত পরশু রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর 1নম্বর ব্লকের চণ্ডীপুর গ্রামের সঙ্গে মানকিবাড়ি গ্রামের একাংশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ ওই রাতে গোষ্ঠী সংঘর্ষে চণ্ডীপুরের এক চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়৷ সেই ঘটনায় আক্রান্ত পরিবারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলাকার সাংসদ খগেন মুর্মু৷ আজ তিনি BJP-র জেলা সভাপতি সহ অন্যান্যদের নিয়ে চণ্ডীপুর গ্রামের দিকে রওনা দেন৷ কিন্তু গ্রামে ঢোকার আগেই তাঁদের পথ আটকান BDO অনির্বাণ বসু ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানার IC সঞ্জয়কুমার দাস৷ তাঁরা সাংসদকে জানান, যেহেতু এই মুহূর্তে ওই এলাকা কোরোনা কনটেইনমেন্ট জোন, তাই এখন তাঁদের ওই গ্রামে যাওয়া উচিত হবে না৷ BDO এবং IC-র আবেদনে সাড়া দিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসেন তিনি৷
খগেনবাবু বলেন, “আজ আমরা রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর গ্রামে আক্রান্তদের বাড়িতে যেতে চেয়েছিলাম৷ গত পরশু ওই গ্রামে একটি অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে৷ সেখানে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়৷ আজ আমরা ওই গ্রামে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম৷ আমার সঙ্গে দলের জেলা সভাপতিও রয়েছেন৷ কিন্তু মাঝপথে আমাদের আটকে দেওয়া হয়েছে৷ পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আবেদন জানানো হয়, ওই এলাকা এখন কনটেইনমেন্ট জোন৷ এখন সেখানে যাওয়া ঠিক হবে না৷ কোরোনার কথা মাথায় রেখে আমরা পুলিশ ও প্রশাসনের আবেদনে সাড়া দিয়ে ফিরে যাচ্ছি৷ তবে আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছি, পরশু রাতের ঘটনায় যারা দোষি, তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়৷ কারণ, আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ৷ এখানে কোনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেন আক্রান্ত না হয়৷”