পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

9 জনের মধ্যে 6 জন টেকনিশিয়ানই কোরোনা সংক্রমিত - মালদায় মেডিকেলের ভাইরোলজি বিভাগে

মালদায় মেডিকেলের ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবরেটরির 9 টেকনিশিয়ানের মধ্যে 6 জনই কোরোনা সংক্রমিত ৷এজন্য চালু করা যাচ্ছে না ট্রমা কেয়ার ইউনিট ৷

technicians
মালদায় মেডিকেলে

By

Published : Jul 16, 2020, 10:01 PM IST

মালদা, 16 জুলাই : মালদা মেডিকেলের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে চালু হতে চলেছে 125 শয্যাবিশিষ্ট কোভিড হাসপাতাল ৷ আগামী 20 তারিখ থেকে সেই হাসপাতাল চালু করা হবে বলে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ৷ তবে সম্ভবত সেদিন থেকে মেডিকেলে এই হাসপাতাল চালু করা যাবে না ৷ আজ মালদা মেডিকেলের অধ্যক্ষের গলায় সেই সুর ধরা পড়েছে ৷ যদিও তিনি এনিয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানাননি ৷ এই বিষয়ে আজই মেডিকেলে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছেন তিনি ৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, মালদা মেডিকেলে কোভিড হাসপাতাল চালু হলে বর্তমান কোভিড হাসপাতালে মেডিকেল থেকে আর চিকিৎসক পাঠানো সম্ভব হবে না ৷ ফলে সেই সময় বর্তমান কোভিড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা কেমন থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ এদিকে মেডিকেলের ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবরেটরিতে কোরোনা সংক্রমণ শুরু হয়ে যাওয়ায় আজ থেকে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে লালারসের নমুনা পরীক্ষা ৷ সহকারী অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের আশা, আগামীকাল সন্ধে থেকে ফের ল্যাবরেটরি চালু করা যাবে ৷

নির্দেশিকা হাতে পেয়ে কার্যত ঘুম উড়েছে মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের৷ কারণ, এখনও ট্রমা কেয়ার ইউনিয়ের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ তৈরি হয়নি ৷ এখনও সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যায় বাতানুকুল মেশিনও বসানো যায়নি ৷ নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ৷ চিকিৎসার যন্ত্রপাতিও পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই ৷ সেই পরিকাঠামো তৈরি করতে কমপক্ষে আরও 15 দিন প্রয়োজন ৷ সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি করে আগামী মাসের আগে সেখানে কোভিড হাসপাতাল চালু করা যে কিছুতেই সম্ভব নয়, তা মেনে নিচ্ছেন মেডিকেল কর্তৃপক্ষের একাংশ ৷ এমন অবস্থায় সরকারি নির্দেশ কীভাবে মানা সম্ভব, তা ঠিক করতে মাথার ঘাম পায়ে পড়ছে তাঁদের৷ এনিয়ে আজ মেডিকেলের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় Etv ভারতকে বলেন, “ট্রমা কেয়ার ইউনিটে একটি লেভেল 3 ও 4 কোভিড হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়েছি ৷ ওই হাসপাতাল 125 শয্যার করা হবে ৷ আমরা তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি ৷ সেখানে কিছু কাজ বাকি রয়েছে ৷ আমরা দ্রুত সেই সমস্ত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি ৷ কাজ শেষ হয়ে গেলেই আমরা সেখানে কোভিড হাসপাতাল চালু করে দেব৷ আমাদের হাতে এখন যত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন তাঁদের আমরা সেখানে নিয়োগ করব ৷ এছাড়াও আমরা আরও ফ্যাকাল্টির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি ৷ বর্তমানে মেডিকেল থেকেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পুরাতন মালদার নারায়ণপুর কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে ৷ মেডিকেলে কোভিড হাসপাতাল চালু হলে তাঁদের এখানে নিয়ে আসা হবে৷ সেই পরিস্থিতিতে ওই কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা কীভাবে দেওয়া হবে তা নিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব৷ সবকিছু নিয়েই আজ একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে ৷ ওই বৈঠকেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷”

এদিকে মেডিকেলের ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবরেটরির 9 টেকনিশিয়ানের মধ্যে 6 জনই কোরোনা সংক্রমিত ৷ মাত্র তিনজন টেকনিশিয়ান নিয়ে সেখানে কাজ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ৷ এই পরিস্থিতিতে আজ ল্যাবরেটরি স্যানিটাইজ করা হচ্ছে৷ মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ জানিয়েছেন, “ল্যাবরেটরিতে কোরোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ায় ওই জায়গা স্যানিটাইজ করা ভীষণ জরুরি হয়ে পড়েছিল ৷ তার জন্য আজ থেকে আগামীকাল সকাল পর্যন্ত ল্যাবে কোনও লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে না৷ আশা করা যাচ্ছে, আগামীকাল সন্ধে থেকে ফের সেখানে লালার নমুনা পরীক্ষা শুরু করা যাবে৷ এই মুহূর্তে সেখানে টেকনিশিয়ানের সংখ্যাও কমে গিয়েছে৷ নতুন টেকনিশিয়ান নিয়োগের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷ আশা করছি, আগামীকালই নতুন কয়েকজন টেকনিশিয়ান পাওয়া যাবে৷”

ABOUT THE AUTHOR

...view details