মালদা, 10 ফেব্রুয়ারি : ট্রেন থেকে নামিয়ে নৃশংস খুনের ঘটনায় 12 জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত । দোষীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ফাইনের নির্দেশ দেন অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন 1 নম্বর কোর্টের বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায় (Malda Train Murder Case) ৷
হরিশ্চন্দ্রপুরের কাওয়ামারির বাসিন্দা মোজাম্মেল হক খুন হন 2008 সালের 19 মার্চ । তিনি ইটভাটার মালিক ছিলেন । ঘটনার দিন তিনি মালদা টাউন স্টেশন থেকে ট্রেনে করে হরিশ্চন্দ্রপুরে যাচ্ছিলেন । মাঝে ভালুকা রোড স্টেশনে কয়েকজন ট্রেনের কামরা থেকে তাঁকে নামিয়ে মারতে মারতে স্টেশনের বাইরে নিয়ে যায় । পরে তাঁকে একটি ভুটভুটিতে চাপিয়ে কোপাতে কোপাতে এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয় । দেহ দ্বিখণ্ডিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ । পরদিন 30 জনের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে 36 জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করে পুলিশ । আদালতে ট্রায়াল শুরু হওয়ার আগে এক আসামির ও বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয় আরও দুই আসামির । এই ঘটনায় হবিবুর রহমান, সেরাজুল হক, মাজিবুর রহমান, রফিকূল ইসলাম, আবদুল জব্বার, আলাউদ্দিন, বাবলু, এক্রামূল হক, ফানেসুর রহমান, জাইবুর হক, তফিজুল হক ও ইউসুফ আলিকে আজ দোষী সাব্যস্ত করে আদালত । বাকি 21 জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷
2008 সালের 19 মার্চ খুনের ঘটনায় 12 জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হল সরকারিপক্ষের আইনজীবী অমিতাভ মৈত্র বলেন, “19 মার্চ 2008 সালে হরিশ্চন্দ্রপুরের কাওয়ামারি এলাকার বাসিন্দা মোজ্জামেল হককে খুন করা হয় । তিনি ইটভাটার মালিক ছিলেন । পরদিন তাঁর স্ত্রী ফিরদৌসী বেওয়া 30 জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ 36 জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট ফাইল করে । অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেশন 1 নম্বর কোর্টের বিচারক মৌ চট্টোপাধ্যায় 20 জনের সাক্ষীর ভিত্তিতে 12 জনকে দোষীকে সাব্যস্ত করেন । তাদের সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ফাইন করা হয়েছে । পূর্ব আক্রোশ ও ব্যবসা সংক্রান্ত গড়মিলের জন্যই এই খুন করা হয়েছে বলে মামলায় উঠে এসেছে ।”
আরও পড়ুন : Malda Fraud Case : বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাড়ে 6 লক্ষ টাকার প্রতারণা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীকে