কলকাতা, 8 জানুয়ারি : সকালে আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বউদির । একটি দুর্ঘটনার জেরে অসুস্থ ছিলেন তিনি । বীরভূম থেকে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতাল ঘুরে তাকে ভরতি করা হয় আর জি কর হাসপাতালে । আজ সকালে মৃত্যু হয় তাঁর । তারপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ হাসপাতালের একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায় মৃতের দেওরকে । মৃত যুবকের পকেট থেকে উদ্ধার হয় একটি আধার কার্ড ।
আজ দুপুর আড়াইটে নাগাদ হঠাৎই ফোন যায় টালা থানায় । বলা হয়, আর জি কর হাসপাতালে ট্রমা কেয়ারের পাশে একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা গেছে এক যুবককে । পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখতে পায় একটি মাফলার দিয়ে গাছের সঙ্গে পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বছর বত্রিশের এক যুবক । আর জি কর হাসপাতালে ডিউটিরত চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন । মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করতে পাঠানো হয় ।
প্রাথমিকভাবে ওই যুবকের পরিচয় সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না পুলিশের । কিন্তু তাঁর পকেটে উদ্ধার হয় একটি আধার কার্ড । সেই কার্ডে নাম লেখা কমল ধীবর । তিনি বীরভূমের ইলামবাজারের দেবীপুরের বাসিন্দা । প্রাথমিকভাবে ওই আধার কার্ড আত্মহত্যা করা যুবকের বলে মনে হয় পুলিশের । কিন্তু তারপরও ওই যুবকের পরিচয় নিয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানায়নি পুলিশ । ইলামবাজার থানায় পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে । বলা হয়েছে, ওই যুবকের পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানানোর জন্য । তাঁরা ওই যুবককে চিহ্নিত করলেই জানা যাবে আসল পরিচয় ।
কিন্তু ওই যুবক আত্মহত্যা করলেন কেন?
প্রাথমিকভাবে পুলিশ বুঝতে পারে, ওই যুবকের নিশ্চিতভাবেই আর জি করে কেউ ভরতি ছিল । সেই সূত্র ধরেই শুরু হয় খোঁজ খবর নেওয়া । জানা যায়, আজ সকালে সুন্দরী বাগদি নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে । ওই মহিলা অন্ধ্রপ্রদেশের পালসা রেলওয়ে স্টেশনে পড়ে গেছিলেন । সেখান থেকে তাঁকে ভরতি করা হয় হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে । তারপর তাঁকে আনা হয় আর জি করে । হাসপাতালের রেকর্ড বলছে, সুন্দরী বাগদিকে হাসপাতালে ভরতি করে কমল ধীবর । সেখানে সম্পর্কে জায়গায় লেখা ছিল দেওর । কিন্তু বউদির মৃত্যুতে কেন দেওর আত্মহত্যা করতে যাবেন? মৃতদের পরিজনরা কলকাতায় এলে তবেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ ।