পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

সুরক্ষাবিধি না মানাতেই খোয়াতে হয় প্রাণ, কুঁদঘাট দুর্ঘটনায় স্বীকার পুরপ্রশাসকের

কুঁদঘাটে ম্য়ানহোল পরিষ্কার করতে নেমে প্রাণ যায় চার শ্রমিকের ৷ তাঁদের প্রত্য়েকের পরিবারের সদস্যদের হাতে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন কলকাতার প্রধান পৌরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ৷ স্বীকার করেন, সুরক্ষাবিধি ছাড়াই কাজে নেমেছিলেন ঠিকা শ্রমিকরা ৷ তার জেরেই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ৷

wb_kol_01_kmc_firhad_hakim_labour_death_7203415_vis
সুরক্ষাবিধি না মানাতেই খোয়াতে হয় প্রাণ, কুঁদঘাট দুর্ঘটনায় স্বীকার পুরপ্রশাসকের

By

Published : Feb 27, 2021, 2:00 PM IST

কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি: সুরক্ষাবিধির তোয়াক্কা না করেই ম্য়ানহোলে নেমেছিলেন ঠিকাকর্মীরা ৷ তার জেরেই প্রাণ যায় চার শ্রমিকের ৷ ঘটনা ঘটার পরই কলকাতা পৌরনিগমের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ৷ ঘোষণা মোতাবেক, মৃতদের প্রত্য়েকের পরিবারের সদস্য়দের হাতে পাঁচ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেন কলকাতার মুখ্য পৌরপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ৷

গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা ৷ কুঁদঘাটে ম্য়ানহোল পরিষ্কার করতে নামেন সাত ঠিকাকর্মী ৷ সেই সময়েই পা হড়কে নীচে পড়ে যান তাঁরা ৷ দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বিষাক্ত গ্য়াসের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন সকলেই ৷ পরে মৃত্য়ু হয় চারজনের ৷

ঘটনা ঘটার পরই তদন্তের নির্দেশ দেয় পৌর প্রশাসন ৷ তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সামনে এসেছে গাফিলতির ঘটনা ৷ তার স্বপক্ষে প্রমাণও পেয়েছেন তদন্তকারীরা ৷ জানা গিয়েছে, শ্রমিকদের নীচে নামানোর সময় সুরক্ষাবিধির তোয়াক্কা করা হয়নি ৷ ছিল না ‘সেফটি রোপ’ ৷ ফলে পা হড়কে নীচে পড়ে গেলেও নিজেদের সামলানো সুযোগ পাননি শ্রমিকরা ৷ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ঠিকা সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

আরও পড়ুন:শহরের চার বেসরকারি হাসপাতালকে ছয় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ কমিশনের

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদ জানান, যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক ৷ মৃতদের পরিবারের সদস্যরা এককালীন অর্থসাহায্য় পেলেও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবারের একজনের চাকরির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা ৷ যা মেনে নিয়েছেন পৌরনিগমও ৷ দেওয়া হয়েছে হয়েছে দ্রুত চাকরির আশ্বাস ৷ তবে স্বজনহারাদের আক্ষেপ, টাকা বা চাকরি কখনই একজন মানুষের বিকল্প হতে পারে না ৷ তাঁরা মনে করেন, একটু সতর্ক হলেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়ানো যেত ৷ প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় যাঁদের মৃত্য়ু হয়েছে, অতিমারীর আগে পর্যন্ত তাঁরা ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতেন ৷ কিন্তু লকডাউনের পর বাড়িতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৷ পরিবারের সকলের ভাত জোটাতেই ম্য়ানহোল পরিষ্কারের কাজ নেন তাঁরা ৷ আর তাতেই হারাতে হয় জীবন ৷ মৃতদের পরিবারের আর্তি, আর কারও সঙ্গে যেন এমন ঘটনা না ঘটে, সবার আগে সেটা নিশ্চিত করুক প্রশাসন ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details