কলকাতা, 15 জুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে (Presidential Election 2022) সামনে রেখে শুরু হয়েছে বিরোধী জোটের সলতে পাকানোর কাজ ৷ এবারও মধ্যমণি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Leader Mamata Banerjee) ৷ কিন্তু তিনি কি আদৌ এই উদ্যোগে সফল হবেন ? প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল ৷
কেন উঠছে এই প্রশ্ন ? জাতীয় রাজনীতির খোঁজখবর যাঁরা রাখেন, তাঁরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে টেনে আনছেন অতীতের দু’টি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রসঙ্গ ৷ যার একটি হয়েছিল 2012 সালে ৷ আর দ্বিতীয়টি হয় 2017 সালে৷ দু’বারই কেন্দ্রের শাসক জোটের ঠিক করা প্রার্থীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ‘ভোকাল’ ছিলেন তৃণমূল নেত্রী ৷ কিন্তু কোনওবারই তাঁর সেই উদ্যোগে সাফল্য আসেনি ৷ বরং জিতেছেন কেন্দ্রের শাসক-জোটের মনোনীত প্রার্থী ৷
2012 সালে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ প্রার্থী করেছিল প্রণব মুখোপাধ্য়ায়কে (Pranab Mukherjee) ৷ কিন্তু সেবার বীরভূমের ভূমিপুত্রের প্রার্থিপদ নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বিরোধীদের একজোট করে প্রার্থী খোঁজার কাজও শুরু করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ৷ অথচ মমতার দল তৃণমূল তখন ইউপিএ-র অংশ ৷ তাঁর দলের একাধিক সাংসদ কেন্দ্রের মন্ত্রী ৷
ফলে এই নিয়ে সেই সময় সরগরম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি ৷ কিন্তু অনেক রাজনৈতিক দল তখন মমতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল ৷ প্রার্থী হিসেবে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের (APJ Abdul kalam) নামও নির্ধারণ করা হয় ৷ কিন্তু সর্বসম্মত প্রার্থী না হলে তিনি মনোনয়ন দেবেন না বলে জানিয়ে দেন ৷ ফলে সেই প্রক্রিয়া ভেস্তে যায় ৷
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, সেই সময় সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং গোড়া থেকে মমতার পাশেই ছিলেন ৷ কিন্তু শেষের দিকে তিনি সরে যান ৷ ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তৃণমূল প্রণব মুখোপাধ্যায়কে সমর্থন করে ৷
2017-তে পরিস্থিতি অবশ্য তেমন ছিল না ৷ বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের (President Ramnath Kovind) জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল ৷ কিন্তু তখনও বিজেপির প্রার্থী নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন মমতা ৷ বিরোধীদের প্রার্থী মীরা কুমার জেতাতে চেষ্টাও করেছিলেন ৷