কলকাতা, 18 সেপ্টেম্বর : পার্লামেন্ট মে মুঝে বাবুল চাহিয়ে ৷ আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ৷ তখনও তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হননি ৷ বিজেপির (BJP) প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে তিনি তখন চষে বেড়াচ্ছেন আসমুদ্রহিমাচল ৷ 2014 সালে আসানসোলের মানুষ কথা রেখেছিলেন ৷ বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) সংসদে পাঠিয়েছিলেন তাঁরা ৷
তার পর পেরিয়ে গিয়েছে সাত বছর ৷ রাজনীতিতেও অনেক পরিবর্তন হয়েছে ৷ শনিবার হঠাৎ করে মোদির ‘পছন্দের’ সেই বাবুল পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়ে নিজের রাজনৈতিক পরিচয়েরও পরিবর্তন করলেন ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে কেন তিনি এই পদক্ষেপ করলেন ?
আরও পড়ুন :Babul Supriyo : দেড় মাসেই ভোলবদল, তৃণমূলে যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়
বাবুল নিজে বলছেন, তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু গত কয়েকদিনে তিনি উপলব্ধি করেন যে, বাংলার জন্য কাজ করার এই সুযোগ তাঁর ছাড়া উচিত হবে না ৷ তাই তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগ দিলেন তিনি ৷
এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে বাবুল সুপ্রিয় 2014 সালে আসানসোল থেকে জিতেই কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছিলেন ৷ যা চমকে দিয়েছিল সবাইকে ৷ 2019 সালেও তাঁকে মন্ত্রিসভায় রেখে দেন নরেন্দ্র মোদি ৷ কিন্তু মোদি ক্যাবিনেটের সাম্প্রতিক রদবদলে তিনি বাদ পড়েন ৷ আর তার পর থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে শুরু করে ৷
আরও পড়ুন :Nachiketa on Babul : সঠিক পথটা বাছতে এত দেরি কেন বাবুলের, প্রশ্ন নচিকেতার
7 জুলাই মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় বাবুল লিখেছিলেন, ‘তোমরা যা বলো তাই বলো, আমার লাগে না মনে ৷’ রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওই লাইন যে বাবুলের মনের কথা ছিল না, তা আরও কয়েকদিন পর স্পষ্ট হয়, যখন তিনি রাজনীতি, সাংসদ পদ সব ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ৷
সেও ছিল এক শনিবার ৷ গত জুলাইয়ের শেষদিন ৷ বিজেপির তরফে অবশ্য তাঁকে সাংসদ পদ ছাড়া থেকে বিরত করা হয়েছিল ৷ কিন্তু মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়া যে তার ‘মেনে লেগেছিল’, তা সেদিনের পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল ৷ তাই হয়তো তৎকালীন দলের উদ্দেশ্যে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় বাংলা গানের লাইন রেখে দিয়েছিলেন, ‘একগোছা রজনীগন্ধা হাতে নিয়ে বললাম, চললাম ৷’
আরও পড়ুন :Visva-Bharati University : নাম না করে অনুব্রতকে ‘বাহুবলী’ বলে তোপ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের