পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

ধর্মস্থান খোলায় মহামারী হলে দায় নেবেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন সুজনের

1 জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। CP(I)M নেতা সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তুললেন, মহামারী হলে তার দায় নেবেন মুখ্যমন্ত্রী? বাম পরিষদীয় দলনেতা আরও বলেন, হিম্মত থাকলে বিধানসভা খুলে দেখান মুখ্যমন্ত্রী।

By

Published : May 29, 2020, 10:54 PM IST

Sujan questioned to Mamata
সুজন চক্রবর্তী

কলকাতা, 29 মে: 1 জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার যে সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করলেন বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী। বাম নেতার প্রশ্ন, এভাবে সব কিছু খুলে দেওয়ার পর যদি রাজ্যে মহামারীর হয়, তবে তার দায় নেবেন মুখ্যমন্ত্রী? CP(I)M নেতা দাবি করেন, আগামী এক বছরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পতন হবে।

আজই রাজ্যের সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী 1 জুন থেকে সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে। তবে ধর্মীয় স্থানে একসঙ্গে 10 জনের বেশি ঢুকতে পারবেন না। পাশাপাশি সেখানে যাতে ভিড় না হয় তার দায়িত্ব নিতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলিকে।

এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতেই বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "লকডাউন তো তুলতেই হবে। কিন্তু, বাড়তি সংক্রমণের এই সময়ে সাধারণ মানুষকে গিনিপিগ করা হচ্ছে কেন? ধর্মস্থান খোলার আগে নেতা মন্ত্রীদের বিধানসভা তো খুলুন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে এভাবে বিপদের মুখে ঠেলে দেবেন না। হিম্মত থাকলে এই অবস্থায় বিধানসভা খুলে দেখান। নিজেরা সুরক্ষিত থাকবেন। আর রাজ্যের সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।"

CP(I)M নেতার কটাক্ষ, "মুখ্যমন্ত্রীকে যে চলে যেতে হবে, সেটা তিনি বুঝতে পেরেছেন। তাই BJP-র, অমিত শাহের আঁচলের তলায় থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এত সহজে বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রীকে ছাড়বেন না। বাংলার সর্বনাশের দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে। শহীদ হব মনে করে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা করবেন না।"

বাম নেতা আরও মনে করেন, কোরোনা পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। তাই সংক্রমণ নিয়ে মিথ্যে তথ্য দিচ্ছে। আমফান সামলাতেও ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসন।

সুজন চক্রবর্তীর কথায়, "রাজ্য প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত ও ব্যর্থ। কোরোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে হেরে গিয়েছে রাজ্য সরকার। এখন মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়ে তথ্য গোপন করছে। আমফান সহ সমস্ত বিষয়ে ব্যর্থতার নজির গড়েছে রাজ্য সরকার। গ্রামে গ্রামে তোলাবাজ বাহিনী তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মানুষ এর কৈফিয়ৎ চাইবেন। পালাবার পথ নেই।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details