কলকাতা, 1 অগস্ট : বছর খানেক আগে নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে (TMC MLA Babul Supriyo) ৷ তার পর বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগ দেন বাবুল ৷ যোগদানের পরই জানিয়েছিলেন যে তিনি ‘ফার্স্ট ইলেভেন’-এ খেলতেই যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে ৷ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, রাজনীতির ময়দানে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকার পাত্র তিনি নন ৷ তাঁর সেই মন্তব্যের প্রায় বছর খানেক পর এবার ‘ফার্স্ট ইলেভেন’-এ জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল বাবুল সুপ্রিয়র ৷
কিন্তু ফার্স্ট ইলেভেন আর রিজার্ভ বেঞ্চ বলতে ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা অবশ্য কখনোই স্পষ্ট করেননি সঙ্গীত শিল্পী থেকে জনপ্রতিনিধি হয়ে যাওয়া বাবুল ৷ তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মন্ত্রিত্বের বিষয় ৷ মোদির মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়াতেই গোঁসা হয় বাবুলের ৷ তাই তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসেন ৷ তবে এখানে যে তাঁর মূল লক্ষ্য মমতার মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া, সেটা বোঝাতেই হেঁয়ালি করে ফার্স্ট ইলেভেন ও রিজার্ভ বেঞ্চের তত্ত্ব সামনে এনেছিলেন তিনি ৷
সোমবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Bengal CM Mamata Banerjee) মন্ত্রিসভায় রদবদলের ঘোষণা করেছেন ৷ জানিয়েছেন, আগামী বুধবার বিকেল চারটেয় নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেবেন ৷ 5-6 জন নতুন মুখ জায়গা পাবেন তাঁর মন্ত্রিসভায় ৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর জল্পনায় চলে আসে বাবুলের নাম ৷
গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাবুল যখন তৃণমূলে যোগদেন, তিনি তখনও আসানসোলের সাংসদ ৷ পরে তিনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন ৷ এর পর তাঁকে সেভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি ৷ কিন্তু গত এপ্রিলে তিনি বালিগঞ্জ বিধানসভার উপ-নির্বাচনে (Ballygunge Assembly Bye Poll) জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন ৷ স্বাভাবিকভাবেই তাই প্রশ্ন উঠেছে, এবার কি তাহলে তাঁকে মন্ত্রী করা হবে ?
যদিও এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন নবান্নের কর্তা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ৷ তবে তৃণমূলের একটা অংশের বক্তব্য, বাবুলের মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল ৷ কারণ, তিনি টানা সাত বছর কেন্দ্রের মন্ত্রী থেকেছেন ৷ ফলে মন্ত্রিত্ব সামলাতে গিয়ে যে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়, তা তাঁর আছে৷ তাছাড়া তিনি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পাশাপাশি দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (TMC MP Abhishek Banerjee) গুডবুকে আছেন বলেও তৃণমূলের ওই সূত্রের দাবি ৷