কলকাতা, 19 মে: বুধবারের শুনানিতেও জামিন হল না ৷ নারদকাণ্ডে ৪ হেভিওয়েট নেতা জেলে ৷ বৃহস্পতিবার ফের শুনানি হবে । এই আবহে শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়দের বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ কুণাল ঘোষের । তৃণমূল মুখপাত্র অভিযোগ করলেন, "মুকুল রায় বিধানসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় নারদ মামলার কথা উল্লেখ করেননি ৷ তথ্য গোপন করেছেন । তাহলে কি তাঁর কাছে আগে থেকে বার্তা ছিল ?"
এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানির পর সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ । বলেন, "গোটা দেশের বেহাল অবস্থা ৷ কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ করতে পারছে না । করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন নেই, ওষুধ নেই, ভ্যাকসিন নেই ৷ এদিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে লাশ ভেসে আসছে ৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পাহারা দিতে হচ্ছে ! এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে সিবিআইকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি ৷"
কুণালের প্রশ্ন, "যে যুক্তি দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতার করা হল, একই যুক্তিতে কেন শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা হল না ? সিবিআই বলছে, মুকুল রায়কে টাকা নিতে দেখা যায়নি । ফিরহাদ হাকিমও তো নিজের হাতে টাকা নেননি । তাহলে দু'জনের জন্য দুই নীতি কেন? স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাতেই এই পদক্ষেপ ।"
শুনুন কী বললেন কুণাল ঘোষ ৷ এর পরই কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, "বিধানসভা নির্বাচনের সময় মনোনয়নের হলফনামায় মুকুল রায় নারদ মামলার উল্লেখ করেননি । তথ্য গোপন করেছেন । অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী মামলার কথা জানালেও কোন ধারায় মামলা তা জানাননি ৷ তবে কি তাঁদের কাছে কোনও গোপন বার্তা ছিল?"
যদিও সিবিআই সূত্রে খবর, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন মুখোপাধ্যায় ও সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে চলেছে সিবিআই । যে কারণে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷