কলকাতা, 31 জুলাই : এই মুহূর্তে বাবুলের আকস্মিক রাজনীতি ত্যাগ নিয়ে জোরদার আলোচনা চলছে । সোশ্যাল সাইটে দীর্ঘ পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী । একইসঙ্গে সোশ্যাল সাইটে তিনি তুলে দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রশ্ন । 2014 সাল থেকে বাংলায় পদ্ম ফোটানোর ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষ বা অন্যান্য রাজ্য নেতাদের মতো তাঁর ভূমিকাও কোনও অংশে কম ছিল না । মূলত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দু'বার তাঁকে মন্ত্রী করেছে বিজেপি । কিন্তু মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা বলার পরই যেভাবে তিনি রাজনীতি থেকে সরে গেলেন, সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে ।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই সময়টা ভাল যাচ্ছে না রাজ্য বিজেপির । 2014 সালের পর থেকে এরাজ্যে একের পর এক জয়ে গেরুয়া শিবিরকে তেল খাওয়া মেশিনের মত মনে হচ্ছিল ৷ একইভাবে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ঘটনাক্রম যেভাবে এগিয়েছে তাতে বিজেপির অন্দরের কঙ্কালসার চেহারা প্রকাশ্যে চলে এসেছে । প্রথমে মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগ এবং বর্তমানে বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতির সংসর্গ ত্যাগ ৷ এই দু‘টি ঘটনা রাজ্য বিজেপির জন্য যে বড় ধাক্কা তাতে কোনও সন্দেহ নেই ।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এদিন তিনি কোনও রাখঢাক না করেই রাজনীতি ছাড়ার দুটি কারণের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন । এর মধ্যে যদি প্রথমাংশ হয় তার মন্ত্রিত্ব চলে যাওয়া, দ্বিতীয়াংশ অবশ্যই শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্ব । এখন প্রশ্ন উঠতে পারে বাবুল সুপ্রিয় ঠিক কাদের দিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন ! সামাজিক মাধ্যমে তিনি কারও নাম খোলসা করে বলেননি । তবে তিনি কি দিল্লির কোনও নেতার দিকে ইঙ্গিত করলেন, নাকি তাঁর রাজনীতি ত্যাগ রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল । নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে থেকে যাঁরা বিজেপিকে খুব কাছ থেকে লক্ষ্য করছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারবেন, এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপি টুকরো টুকরো শক্তি কেন্দ্রে বিভক্ত । এর একদিকে যেমন নব্য বিজেপি হওয়া তৃণমূল ত্যাগী নেতারা রয়েছেন (অবশ্যই তাঁর মধ্যে শীর্ষে আছেন শুভেন্দু) অন্যদিকে রয়েছেন দিলীপ ঘোষ-সহ সংঘ ঘনিষ্ঠ নেতারা । আর একটা অংশে রয়েছেন যাঁরা নিজের ক্যারিশমায় প্রতিষ্ঠিত ৷ অর্থাৎ সাংস্কৃতিক মহলের মানুষজন ।