কলকাতা, 5 জুলাই : বাবা প্রণব মুখোপাধ্যায় (Pranab Mukherjee) ছিলেন জাতীয় রাজনীতির চাণক্য ৷ সামলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব ৷ বিভিন্ন সময় কংগ্রেসের (Congress) ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবেই দেখা যেত বাঙালি এই রাজনীতিককে ৷
তাঁর ছেলে হয়েও সক্রিয় রাজনীতিতে কোনওকালে আগ্রহ ছিল না অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের (Abhijit Mukherjee) ৷ সেই অভিজিৎ 2011 সালে আচমকা রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েন ৷ বীরভূমের নলহাটি থেকে বিধায়কও হন ৷ বছর খানেকের মধ্যে সেই পদ ছেড়ে দিয়ে জঙ্গিপুরের সাংসদ হয়ে যান ৷ কারণ, তখন সেখানকার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাষ্ট্রপতির (President of India) পদে বসেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন :সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দিয়েছিলেন বাবা, তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন প্রণব-পুত্র
2014 সালে লোকসভা নির্বাচনে জিতলেও 2019-এ হারতে হয় অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ৷ তারপর থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে খুব একটা দেখা যায়নি তাঁকে ৷ কিন্তু সোমবার বিকেলে আচমকা উদয় হলেন রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে ৷ কংগ্রেস ছেড়ে হাতে ধরলেন ঘাসফুলের পতাকা ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের সৈনিক হিসেবে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দিলেন ৷
কিন্তু যে নেতার সেভাবে জনভিত্তি নেই, তাঁর আচমকা দলবদলে লাভ কি ? এতে কি তৃণমূলের কোনও লাভ হবে ? রাজনৈতিক বিশ্লেষক শুভাশিস মৈত্রের মতে, এতে তৃণমূলের (Trinamool Congress) কোনও লাভ নেই ৷ তাঁদের দলে আগেও অনেকে অন্য দল থেকে যোগদান করেছেন ৷ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সেই তালিকায় নতুন সংযোজন মাত্র ৷