কলকাতা, 16 মে : লকডাউনের প্রভাব এবার রাজ্যের কোষাগারে ৷ প্রায় চার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন রাজ্য সরকার ৷ লকডাউনের জেরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মবিরতি থাকায় এই বিরাট আর্থিক ক্ষতি হতে চলেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ৷
লকডাউনে রাজ্যের 4 হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি - coronavirus effect on economy
লকডাউনের মধ্যে গত দু’মাসে রাজস্ব আয় তলানিতে ৷ এই অবস্থায় গ্রামীণ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ওপর বিশেষ নজর দিয়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

নভেল কোরোনা ভাইরাস অর্থনীতির উপর ব্যপক প্রভাব ফেলবে, তার ভবিষ্যৎবাণী আগেই করেছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ এবার চার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হতে চলেছে রাজ্যের কোষাগারে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউন শুরু হওয়ার পর অর্থনীতি প্রায় থমকে দাঁড়ায় ৷ যার প্রভাবে GST-র 1,517 কোটি টাকা, রাজ্যের VAT-এর 436 কোটি টাকা, শুল্কের 969 কোটি টাকা, রেজিস্ট্রেশনের 521 কোটি টাকা, পরিবহণ করের 220 টাকা, বিদ্যুৎ বিলের 214 কোটি টাকা এবং রাজস্বের 302 কোটি টাকার ঘাটতি হতে চলেছে ৷ এপ্রিলে মোট চার হাজার 179 কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে ৷
অর্থ দপ্তর সূত্রে খবর, মদের দোকান খোলায় লকডাউনের মধ্যে রাজস্ব ঘাটতি কিছুটা কমবে বলে আশা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু মজুত কম থাকায় আশানুযায়ী রাজস্ব আদায় হয়নি ৷ মদের দোকান খুলে 40 কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে রাজ্য সরকার ৷ সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, গত দু’মাসে রাজ্যের প্রায় 12 হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ৷ তাই গ্রামীণ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে এক কোটি 52 লাখ টাকার আর্থিক প্যাকেজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি ৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে রাজ্যের প্রাপ্য 53 হাজার কোটি টাকা দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে , রাজ্যের গ্রামীণ আর্থিক ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজাতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷