কলকাতা, 11 জুলাই : ফি বৃদ্ধি করা যাবে না এবং নির্দিষ্ট কিছু পরিষেবা দেওয়ার নামে অতিরিক্ত ফি নেওয়াও যাবে না। স্কুল শিক্ষাদপ্তরের তরফ থেকে রাজ্যে অবস্থিত বেসরকারি স্কুলগুলোকে দেওয়া সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করল স্কুল শিক্ষাদপ্তর । আগামী 13 জুলাইয়ের মধ্যে রাজ্যের সব জেলা পরিদর্শককে তাঁদের এলাকার বেসরকারি স্কুলগুলি নির্দেশ মানছে কিনা তার রিপোর্ট দপ্তরে জমা করা নির্দেশ দিয়েছেন স্কুল শিক্ষাদপ্তরের কমিশনার।
ফি বৃদ্ধি না করার নির্দেশ কি মানছে স্কুলগুলি ? রিপোর্ট তলব শিক্ষাদপ্তরের - বেসরকারি স্কুল
স্কুল শিক্ষাদপ্তর বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধি না করার নির্দেশ দেয় ৷ সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে কিনা তা জানাতে জেলা পরিদর্শককে রিপোর্ট জমা দিতে বলল শিক্ষাদপ্তর ৷ 13 জুলাইয়ের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ৷
কোরোনা আবহেও রাজ্যের বহু বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধি করেছিল এই বছর । এই নিয়ে লকডাউনের মধ্যেই সরব হয়েছিলেন অভিভাবকরা। কোরোনা ভাইরাস নিয়ে চলা কঠিন পরিস্থিতিতে স্কুলগুলি ফি বৃদ্ধি করায় রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাদপ্তরের সচিবের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা । অভিভাবকদের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলোতে ফি বৃদ্ধি না করার আবেদন জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্কুল শিক্ষাদপ্তরের তরফ থেকে জারি করা হয়েছিল অ্যাডভাইজ়ারি। একাধিকবার অ্যাডভাইজ়ারি জারি করার পরও বহু বেসরকারি স্কুল ফি বৃদ্ধি করেছিল এমন অভিযোগ দপ্তরে জমা পড়তেই আরও কড়া অবস্থান গ্রহণ করেছিল স্কুল শিক্ষাদপ্তর । রাজ্যের বেসরকারি ও আন-এডেড স্কুলগুলি ফি বৃদ্ধি না করার আবেদন না মানলে তা গুরুত্ব সহকারে দেখার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল শিক্ষাদপ্তরের তরফে ।
রাজ্য সরকারের তরফে বারবার বলা সত্ত্বেও এখনও কোনও বেসরকারি স্কুল নির্দেশ লঙ্ঘন করে ফি বৃদ্ধি করেছে কিনা তা জানতে উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল শিক্ষাদপ্তর। ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষাদপ্তরের কমিশনার অনিন্দ্য নারায়ণ বিশ্বাসের তরফ থেকে রাজ্যের সব জেলা পরিদর্শকদের এই বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষাদপ্তর রাজ্যে অবস্থিত সব বেসরকারি স্কুলকে নির্দেশ দিয়েছে ফি বৃদ্ধি না করতে বা নির্দিষ্ট কিছু পরিষেবা দেওয়ার নামে অতিরিক্ত ফি না নিতে। রাজ্যের সব জেলা পরিদর্শককে বলা হচ্ছে, তাঁর এলাকাভুক্ত স্পন্সরড, এডেড-সহ সব বেসরকারি স্কুলের থেকে ফিডব্যাক সংগ্রহ করতে এবং 13 জুলাইয়ের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা করতে ।