কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি : জোট প্রক্রিয়ার আলোচনার ক্ষেত্রে অধীর চৌধুরীর মনোভাব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন জোট প্রক্রিয়ার আলোচনা থেকে সরে দাঁড়াতে চান তিনি। বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া ভেস্তে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। অধীর চৌধুরী নিজের কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকছেন যে জোট প্রক্রিয়ার জন্য আলাদা করে সময় তিনি দিতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা। তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে জোট প্রক্রিয়ায় আন্তরিক নয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মন্তব্য কংগ্রেসের একাংশের।
মালদায় এবং মুর্শিদাবাদে কোনও আসন ছাড়া হবে না ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে। যা নিয়ে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে কংগ্রেসের চূড়ান্ত মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান জোট প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে যথেষ্ট আন্তরিক। আজ পর্যন্ত বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট প্রক্রিয়া সবক’টি আলোচনায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। এই মুহূর্তে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।
ঘনিষ্ঠ মহলে আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, জোট প্রক্রিয়া নিয়ে কোনোরকম ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হলে তার জন্য দায়ী থাকবেন না তিনি। বিরক্ত আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, জোট প্রক্রিয়ার আলোচনা থেকে তিনি সরে দাঁড়াতে চান। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের বৈঠকে বামফ্রন্ট নেতৃত্ব যথেষ্ট নমনীয় ছিলেন। অধীর চৌধুরীর ধৈর্য হারানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বরা।
আরও পড়ুন :স্লোগান তৈরি করতে পিকে-কে কেন এত টাকা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রশ্ন অশোকের
প্রদেশ কংগ্রেসের কলকাতার নেতারা জনান্তিকে বলছেন জোট ভেঙে গিয়েছে। এখন যেটা হচ্ছে, কংগ্রেসের ওপরতলার চাপে বাধ্য হয়ে রাজ্য কংগ্রেস বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করছে। যে জোট প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসের কোনও আন্তরিকতা নেই বলে মন্তব্য করছেন তারা। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়া কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। এখনও পর্যন্ত জোট প্রক্রিয়াকে চূড়ান্ত করতে পারেনি বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস৷ যা নিয়ে চূড়ান্ত অস্বস্তি রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দল বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। অধীর চৌধুরীর আন্তরিকতার অভাব আছে বলেই এখনও পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতার কংগ্রেস নেতারা। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক জোটের বিরুদ্ধে মনোভাব পোষণ করছেন এখনও। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে বামফ্রন্ট কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ঐক্যবদ্ধ হওয়া মুশকিল বলেই মনে করছেন কংগ্রেসের একাংশ।