পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / city

মোবাইল ব্যবহার বন্ধে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রেই থাকবে ডিটেক্টর, জানাল জয়েন্ট বোর্ড - রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড সংক্রান্ত খবর

2019 সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার ছ'টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র সোশাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছিল । জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষায় যাতে তা না ঘটে, তাই সচেতন হয়েছিল রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড । মাধ্যমিক পরীক্ষা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে একটি করে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র দেওয়া হবে ।

Radio Frequency Detector in each exam center in 2020
ফাইল ছবি

By

Published : Dec 8, 2019, 9:25 PM IST

কলকাতা, 8 ডিসেম্বর : গত বছরই ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের সেন্টার ইনচার্জকে একটি করে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা বোর্ড (WBJEEB) ৷ কেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন রয়েছে কি না, তা ধরার জন্য ওই যন্ত্র দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু, সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি গত বছর । বহু পরীক্ষাকেন্দ্রেই দেওয়া সম্ভব হয়নি রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র । এ বছর সেই পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে চায় বোর্ড ।

2019 সালে মাধ্যমিক পরীক্ষার ছ'টি বিষয়ের প্রশ্নপত্র সোশাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছিল । জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষায় যাতে তা না ঘটে, তাই সচেতন হয়েছিল রাজ্য জয়েন্ট বোর্ড । মাধ্যমিক পরীক্ষা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে একটি করে রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর যন্ত্র দেওয়া হবে । সেন্টার ইনচার্জ পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি রুমে ওই যন্ত্রটি নিয়ে ঘুরবেন । পরীক্ষা হলে কোনও মোবাইল ফোন বা ব্লু-টুথ ডিভাইস সক্রিয় থাকলে তা জানিয়ে দেবে ডিটেক্টর । কিন্তু সিদ্ধান্ত নিলেও প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে সেই যন্ত্র পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি । এবার পরীক্ষায় সেই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাস্তবায়িত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বোর্ড ।

এ বিষয়ে রাজ্য জয়েন্ট বোর্ডের রেজিস্ট্রার দিব্যেন্দু কর বলেন, "এবারে সব সেন্টারেই আমরা রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর পাঠাব । গতবছর কয়েকটা জায়গায় পাঠানো হয়নি ।" 2020 সালের রাজ্য জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা 2 ফেব্রুয়ারি হবে । দিব্যেন্দুবাবু জানান, এ বছর প্রায় 89 হাজার আবেদনপত্র জমা পড়েছে । যদিও গত বছর 1 লাখ 13 হাজার 912 জন পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিলেন । পরীক্ষায় বসেছিলেন 80 হাজার 989 জন । অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় এ বছর আবেদনকারীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে । তাহলে কি রাজ্যের পড়ুয়ারা জয়েন্ট দিয়ে রাজ্যের প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভরতি হওয়ার আগ্রহ হারাচ্ছেন ? প্রশ্নের উত্তরে দিব্যেন্দুবাবু বলেন, "JEE মেইনসের প্রার্থীও অনেক কমেছে । এখন এটা একটা সর্বভারতীয় ট্রেন্ড । এখন অনেক রকম কোর্স বেরিয়েছে । আগে যেমন ফোকাস ছিল এগুলো । ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি ছাড়া লোকে কিছু ভাবতে পারত না । এখন বিভিন্ন ধরনের কোর্স, ডিগ্রি এসেছে । এখন সবাই সব রকম চিন্তাভাবনা করছে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details