কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: দুয়ারে রেশন নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে না-খুশ রাজ্য ৷ হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার । খাদ্য দফতর সূত্রে এমনটাই খবর (WB Govt Challenges Cal HC verdict) । জানা যাচ্ছে, সম্ভবত চলতি সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য । শীর্য আদালতে যাওয়ার কারণ হিসেবে বেশ কিছু বিষয়কে উল্লেখ করতে চলেছে রাজ্য সরকার । সম্প্রতি সিঙ্গল বেঞ্চ দুয়ারে রেশন নিয়ে যেভাবে মামলা খারিজ করে দিয়েছিল, সেই বিষয়টি উল্লেখ করা হবে সুপ্রিম কোর্টে ।
রাজ্যের বক্তব্য, করোনাকালে এই দুয়ারে রেশনকেই প্রশংসা করেছিল হাইকোর্ট । সেসময় অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও এই মডেল অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছিল । সুপ্রিম কোর্টে এই বিষয়টি উল্লেখ করা হবে ৷ একইসঙ্গে খাদ্য দফতর সুপ্রিম কোর্টে জানাতে পারে, যদি আদালত মনে করে তাহলে দুয়ারে রেশনের ব্যবস্থাপনা কিছুটা পরিবর্তন করা যেতে পারে । তবে এত অর্থ খরচ করে পরিকাঠামো তৈরি করার পর তা বন্ধ করে দিলে, সেই অর্থের জলাঞ্জলি ছাড়া কিছুই হবে না ।
এদিন রায়ের পরই দুয়ারে রেশন কর্মসূচি বন্ধ করা হবে না, কার্যত জানিয়ে দিয়েছে খাদ্য দফতর। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প চালু রাখার জন্যই মূলত সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে খাদ্য দফতর। খাদ্য দফতর সূত্রে বলা হচ্ছে, এর আগেও দুয়ারে রেশন নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে ৷ মামলাগুলিতে খাদ্য দফতর জিতেছে । সেক্ষেত্রে সেই মামলা জয়ের যে অর্ডার, সেগুলিও সুপ্রিম কোর্টের সামনে পেশ করতে পারে রাজ্য সরকার । এই মুহূর্তে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় 8 কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন ।
আরও পড়ুন: নভেম্বরের শুরুতেই রাজ্যে ফের দুয়ারে সরকার, বুধের বিজ্ঞপ্তিতে জানাল নবান্ন
প্রসঙ্গত, বুধবার এই প্রকল্পের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । এদিন হাইকোর্টের তরফ থেকে বলা হয়, এই প্রকল্প বেআইনি । 2013-র জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের পরিপন্থী রাজ্য সরকারের 'দুয়ারে রেশন' প্রকল্প । এরপর এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে । বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "এই সরকার আইনের ধার ধারে না । আর তাই আইনবিরুদ্ধভাবেই এই প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছে ।" অন্যদিকে তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দুয়ারে রেশন একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প । বিরোধী দলগুলো পৈশাচিক আনন্দ দেখাচ্ছে । মানুষ বিচার করবেন । জনতার আদালতেও তো বিচার হবে । মানুষ উপকার পাচ্ছিলেন । একাধিক রাজ্য এই মডেল গ্রহণ করছিল ।"