বিধাননগর, 6 সেপ্টেম্বর: প্রথমে বাগুইআটির দুই স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণ ৷ তারপর মুক্তিপণের দাবি করে দুষ্কৃতীদের বার্তা অপহৃতদের পরিবারকে ৷ আর এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই বসিরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে সন্ধান মিলল অপহৃত দুই ছাত্রের মৃতদেহ ৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ইতিমধ্যেই আলোড়ন তৈরি করেছে ৷ প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ যদিও মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরী এখনও পলাতক ৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে (Baguiati Double Murder case) ৷
গত মাসের 22 তারিখে বাগুইআটির জগৎপুর খাল ধারের বাসিন্দা অতনু দে ও অর্জুনপুরের বাসিন্দা অভিষেক নস্কর নামে দুই ছাত্র বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । এরপরেই তাদের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকার মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসে । বিষয়টি নিয়ে দুই ছাত্রের পরিবারের তরফে বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানো হয় । কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ কোনওরকম ভাবেই সাহায্য করেনি অপহৃত ওই ছাত্রদের খুঁজে বের করতে ৷ সোমবার রাতে পুলিশের তরফে জানানো হয় অতনু দে ও অভিষেক নস্কর নামে নিখোঁজ দুই ছাত্রের দেহ মিলেছে বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে (two student of Baguiati murdered)। মঙ্গলবার দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা তাদের দেহ শনাক্ত করেন ৷ গোটা ঘটনায় পুলিশের উপর ক্ষোভ বেড়েছে দুই ছাত্রের পরিবার ও এলাকাবাসীর ৷ জানা গিয়েছে, দুই ছাত্রের মধ্যে একজনের দেহ উদ্ধার হয় 23 অগস্ট, আরেকজনের 25 অগস্ট ৷ তারপর থেকে দেহ দুটি বসিরহাটের জেলা হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকলেও কেন পুলিশের সেই খোঁজ পেতে এতদিন সময় লাগল, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷
আরও পড়ুন: 2 সপ্তাহ ধরে মর্গে পড়ে অপহৃত দুই ছাত্রের দেহ, অভিযোগ পেয়েও কেন দেহ শনাক্তকরণে দেরি ?