কলকাতা, 24 অগাস্ট : একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জীবনদীপ ব্রাঞ্চে অ্যাকাউন্ট রয়েছে একটি নামী গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার । আর ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ । ঘটনার তদন্তে নেমে 2 ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।
গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, গ্রেপ্তার 2 - two arrested for bank fraud
একটি নামী গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ ৷ 2 জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ৷
![গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, গ্রেপ্তার 2](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-4225343-thumbnail-3x2-pg.jpg)
পুলিশ সূত্রে খবর, 1 জুন শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার । তখন সদ্য সেখানে যোগ দিয়েছেন তিনি । জানান, মে মাসের শেষদিকে তিনি একটি ফোন পান । ওপ্রান্ত থেকে গাড়ি প্রস্তুতকারী ওই সংস্থার নাম করে বলা হয়, "ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলছি "৷ তারপর নানা কথা । এমন ভাবে ওই ব্যক্তি কথা বলে যে, তাকে বিশ্বাস করে ফেলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার । কয়েকদিনের মধ্যে ফের ফোন আসে । ২১.০৫ লাখ টাকা ওভারড্রাফট চায় । ম্যানেজারের সংশয় দূর করতে হোয়টসঅ্যাপে মূল অ্যাকাউন্টের মতো দেখতে চেক পাঠায় । বিশ্বাস করে ফেলেন ম্যানেজার । ফান্ড ট্রান্সফার করা হয় তিনটি ব্যাঙ্কের তিনটি অ্যাকাউন্টে । দু'দিন পরও ওই টাকা ফেরত না আসায় সন্দেহ হয় ম্যানেজারের । তিনি ফোন করেন ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার আসল ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে । বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছে তাঁর ব্রাঞ্চ । সঙ্গে সঙ্গে 8 লাখ 33 হাজার টাকা আটকে দেন তিনি । তারপরই অভিযোগ করেন শেক্সপিয়র সরণি থানায় ।
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে শেক্সপিয়র সরণি থানা এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে তদন্তে নামে । খতিয়ে দেখা যায়, যে সিম কার্ডের নম্বর থেকে ফোন এসেছিল ওই ব্রাঞ্চে, সেটি উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের ঠিকানায় এক ব্যক্তির নামে নেওয়া । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বুঝতে পারে, ওই ব্যক্তি এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নয় । পুলিশের কাছে সূত্র থাকে তিনটি অ্যাকাউন্ট নম্বর । যে নম্বরে ট্রান্সফার করা হয়েছিল টাকা । জানা যায়, তিনটের মধ্যে দুটি অ্যাকাউন্ট নম্বর বিহারের বৈশালীর এক ব্যক্তির । সেখান থেকেই তোলা হয় টাকা । তখনই তদন্তের জট খোলে । বিহারে যায় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল । বৈশালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সন্তোষ কুমার দাস এবং পঙ্কজ কুমার নামে দুই ব্যক্তিকে । তাদের ট্রানজ়িট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে । পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে আরও কয়েকজন । তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ।