কলকাতা, 19 মে : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি ৷ বেআইনিভাবে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ আদালতের তরফে কন্যা-সহ মন্ত্রীকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ এদিকে নিয়োগ সংক্রান্ত যে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেটিও সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল ৷ পরেশ অধিকারী লুকোচুরি খেললেও, গতকালই সিবিআই জেরার মুখে পড়েন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ ঘন ঘন ডাকা হতে পারে তাঁকে ৷ এমনকী প্রয়োজন পড়লে তৃণমূল মহাসচিবকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই ৷ সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ কড়া ব্যবস্থার হাত থেকে বাঁচতে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মন্ত্রী মহাশয় ৷
গতকাল নজিরবিহীনভাবে রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালকে দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রীদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ রাজ্যের কাছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সুপারিশ, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সবরকম পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক ৷' আজ দিনভর চেষ্টা করেও সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন শোনেনি কোনও বেঞ্চই ৷ সকাল 11টায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করতে গেলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্যক্তিগত কারণে এই মামলা শুনতে চান না তাঁরা । ফলে মামলাটি ফেরত যায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে । তিনি মামলাটি পাঠিয়ে দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চে । সেখানে পার্থ চট্রোপাধ্যায়ের তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র জরুরি ভিত্তিতে আদালতের দ্বিতীয়ার্ধে শুনানির আর্জি জানান ।