কলকাতা, 10 নভেম্বর : কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনগুলিতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখলে ভালো হয় ৷ উৎসবের দিনে লোকাল ট্রেন চলা নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট । পাশাপাশি ছটপুজোয় রাজ্যের বিভিন্ন নদী ও লেকের ঘাটগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট । ছটপুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের কোনও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও কার্তিক পুজোর দিনগুলিতে নির্দিষ্ট কয়েকটি স্টেশনে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা এবং ছটপুজোয় নদী ও লেকের ঘাটগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল । সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের 400-র বেশি ঘাটে ছটপুজো হয় । ছটপুজোর শোভাযাত্রা বের করা হয় সেখানে ৷ ভয়ংকরভাবে DJ বাজানো হয়, বাজি ফাটানো হয় ৷ এর জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার ? পাশাপাশি বিচারপতি জানতে চান, রাজ্য সরকার কি এই ব্যাপারে যথেষ্ট প্রচার করছে? এদিনের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানায়, রাজ্যে অনেকগুলি জুটমিল বেল্ট আছে । সেই এলাকাগুলিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিক রাজ্য সরকার ৷ তা না হলে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে জানান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ।
কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোয় ট্রেন বন্ধ রাখলে ভালো হয় : কলকাতা হাইকোর্ট - ছট পুজো
কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো ও কার্তিক পুজোর দিনগুলিতে নির্দিষ্ট কয়েকটি স্টেশনে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা এবং ছটপুজোয় নদী ও লেকের ঘাটগুলFতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল ।
পাশাপাশি বিচারপতি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি বাজেয়াপ্ত হওয়া নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন । তিনি বলেন, আদালত বাজিতে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দিতে পারে ৷ কিন্তু, এটা দেখার দায়িত্ব রাজ্য় ও কলকাতা পুলিশের৷ রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে যথেষ্ট প্রচার চালানো দরকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন । এই সমস্ত বক্তব্যের পর রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত আদালতের কাছে সময় চান । আদালতের দ্বিতীয়ার্ধে তিনি রাজ্যের কি পরিকল্পনা সেটা জানাবেন বলে জানিয়েছেন । তারপর হতে পারে এই মামলার রায় দান ।