খবর 1
2020 সালের জুন মাস ৷ বোলপুর বাইপাস মোড়ে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির ৷ সবজি কিনতে গিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় তাঁকে ধাক্কা মারে গাড়িটি ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, বালির গাড়ি থেকে টাকা তুলতে গিয়ে গাড়িটি বেপরোয়াভাবে চলছিল । তখনই তা শেখ শফিকুলকে ধাক্কা মারে ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ পরে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, শফিকুলকে ধাক্কা মারার পরও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি পুলিশ ৷ উলটে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় ৷
ঘটনার প্রতিবাদে বালির গাড়ি আটকানো হয় ৷ খবর পেয়ে কয়েক ঘণ্টা পর ঘটনাস্থানে যায় বোলপুর থানার পুলিশ ৷ বিষয়টির প্রতিক্রিয়া জানতে বোলপুর থানার SDPO অভিষেক রায়কে ফোন করলে তিনি তা ধরেননি ৷
এই সংক্রান্ত খবর : বোলপুরে পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় মৃত 1
সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ : 2 জুন বোলপুর থানায় সাংবাদিক অভিষেক দত্ত রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷
কেস নম্বর- 134
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ : হাইকোর্টে সাংবাদিকের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবীজয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় ও নাজির আহমেদ।সব তথ্য যত্ন সহকারে খতিয়ে দেখে বিচারপতি বিবেক চৌধুরি ও বিচারপতি সৌমেন সেনের বক্তব্য, তাঁরা উভয়পক্ষেরই সওয়াল-জবাব শুনেছেন ৷ তাঁদের পর্যবেক্ষণ, "যে কোনও ধরনের খবর প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকের মৌলিক অধিকার ৷ সেটি প্রশাসনের কাছে স্বস্তিদায়ক নাও হতে পারে ৷ প্রায়ই যে পুলিশকে বিভিন্ন গাড়ি থেকে ঘুষ নিতে দেখা যায় তা অস্বীকার করা যায় না ৷ আমাদের মনে হচ্ছে কণ্ঠরোধ করতেই এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷"
হাইকোর্টের তরফে আরও বলা হয় যে, সরকারি আইনজীবী এই মামলায় যে কেস ডায়েরি জমা দিয়েছিলেন তা দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, যে আধিকারিকরা সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁরা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তা পুলিশ মেনে নিয়েছে ৷
ETV ভারতের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে FIR দায়ের করা হয়েছিল সেই বিষয়ে দ্রুত তদন্ত শুরুর জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা ৷ পাশাপাশি সাংবাদিকের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, পুলিশ আধিকারিকরা যে টাকা নিয়েছেন সেই বিষয়েও তদন্ত করার এবং অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন ৷ পরে সাংবাদিকের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট ৷
খবর 2
2020-র মে মাস ৷ লকডাউনের মাঝেই অজয় নদ থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার অভিযোগ ওঠে ৷ JCB দিয়ে কোনও অনুমতি ছাড়াই বালি তোলা হয় বলে জানা যায় ৷ তারপর তা তোলা হয় ট্রাকে । এই সব বালি ভরতি (ওভারলোডেড) ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করতে থাকে ৷ নদীগর্ভ থেকে মেশিন দিয়ে বালি তোলায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কীভাবে তা তোলা হচ্ছে ৷ এই বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ৷ এই প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর সঙ্গে ETV ভারতের সাংবাদিক অভিষেক দত্ত রায় যোগাযোগ করলে তিনি জানান, "বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি ৷ গাফিলতি থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷"