কলকাতা, 21 জুন : উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য হোক, প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ জন বারলা (John Barla) ৷ দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তও (Raju bista) চাইছেন পৃথক গোর্খাল্যান্ড । এর পর আরেক বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ-র (Saumitra khan) দাবি, পৃথক রাজ্য হোক জঙ্গলমহল । একের পর এক বিজেপি নেতার বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাবে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক ৷ যদিও বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য, বঙ্গ বিভাজনে তাঁদের সমর্থন নেই । অথচ সেই তাঁদের নেতা-সাংসদরাই পৃথক রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলছেন । এই পরিস্থিতিতে এক সুরে কেন্দ্রের শাসকদলকে তুলোধোনা করছে সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল ।
সোমবার রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, "দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বলছেন । মূলত প্রচারের উদ্দেশ্যেই এসব বলছেন বিজেপি নেতারা । ঝাড়গ্রামে গো হারান হেরেছে বিজেপি ৷ যে জেলাগুলির কথা উনি (সৌমিত্র খাঁ) বলছেন, ভোটের ফলে দেখো গেছে সেখানে মানুষ কী চান ।"
কুণাল ঘোষের মতে, এটা বিজেপির গেম প্ল্যান । পরাজয় মানতে পারছে না তাই বাংলা ভাগের চক্রান্ত করছে । এদিন তিনি আরও বলেন, "বিজেপি বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলত, টুকরা টুকরা গ্যাং ৷ এখন তারাই বাংলাকে টুকরো টুকরো করে ভোগ করতে চাইছে । যত বেশি এ ধরনের কথা বলবে, তত বেশি করে বাংলার মানুষের থেকে দূরে সরে যাবে । বিজেপি আসলে হার মেনে নিতে পারছে না ।"
এদিন সৌমিত্র খাঁ-কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তৃণমূল নেতা ৷ কুণাল ঘোষ বলেন, "বউ হোক বা রাজ্য, সৌমিত্র খাঁ ডিভোর্স পছন্দ করেন । তাঁর স্ত্রী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন । এখন রাজ্য বিভাজনের কথা বলছেন ।"
বিজেপি সাংসদদের বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বামেরাও ৷ প্রাক্তন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, "বিজেপির এই ধরনের বক্তব্যকে বাংলার মানুষ সমর্থন করবেন না । বিভাজনের রাজনীতিকে বাংলা সমর্থন করে না । বাংলা ভাগের চেষ্টা হলে দলমত নির্বিশেষে তা রোখা হবে ।"
সুজন আরও বলেন, "বাংলার শত্রুরা বাংলার বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে । বঙ্গ সংস্কৃতি, ভাষা, বাঙালির জাতিসত্তা... সবকিছুকে ধ্বংস করে বাংলাকে টুকরো টুকরো করে দিতে চাইছে বিজেপি । "