কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর : তাঁর বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক দলই প্রার্থী দেয়নি ৷ তাই শেষমেষ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) পৌঁছে গেলেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev) ৷ সোমবার নিয়ম মাফিক স্ক্রুটিনির পর আনুষ্ঠানিকভাবে সাংসদ হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় ৷ দেওয়া হয় শংসাপত্র ৷ ফলে জহর সরকারের মতোই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ হলেন সুস্মিতা দেব ৷
আরও পড়ুন :Jawhar Sircar : ধুতি-পাঞ্জাবিতে রাজ্যসভায়, শপথ নিলেন জহর সরকার
এদিন বিধানসভায় পা দিয়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সুস্মিতা ৷ তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন, তা আমি নিষ্ঠাভরে পালন করব ৷’’ সুস্মিতা জানান, এখন থেকে এই বাংলাই হল তাঁর ‘সেকেন্ড হোম’ ৷ এদিন তিনি এও জানিয়েছেন, জীবনে প্রথমবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনও জায়গায় জয়ী হলেন ৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুস্মিতা ৷
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্পষ্ট ভাষায় সুস্মিতা বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে দেশের প্রধান বিরোধী মুখ মমতাই ৷ আগামী দিনে তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপিকে ভারত-ছাড়া করার জন্য লড়াই হবে ৷’’ নবনির্বাচিত সাংসদ বলেন, ‘‘ভাবতেই পারিনি অসমে রাজনীতি করব আর বাংলা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হব ৷ এটা সম্ভব হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ৷ তবে সংসদে দাঁড়িয়ে শুধুমাত্র বাংলা বা অসম নয়, ত্রিপুরা-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্যই আওয়াজ তুলব আমি ৷ গত অধিবেশনেও দেখেছি, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা কীভাবে মোদি সরকারের ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ৷ ফলে আগামী দিনে রাজ্যসভায় তৃণমূলের যে নির্দেশ থাকবে, তার উপরে ভিত্তি করেই রাজ্যসভায় কৃষক, ছোট ব্যবসায়ী, খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে আন্দোলন করব ৷’’
সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, আগামী দিনে সংসদে বিজেপি-র বিরোধিতা আরও জোরদার হবে ৷ অসম, ত্রিপুরা-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হবে ৷ মোদি সরকার সংসদে বিরোধীদের গুরুত্ব দেয় না ৷ সংসদের রীতিনীতি মানে না ৷ কোনও বিল স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যায় না ৷ বিতর্ক করতে দেওয়া হয় না ৷ তাদের এই ধরনের আচরণের প্রতিবাদ করা হবে ৷ রাজ্যসভায় তৃণমূলের অন্যান্য সাংসদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবেন বলে জানান তিনি ৷
আরও পড়ুন :Mukul Sangma : সুস্মিতা দেবের পথে কি মুকুল সাংমা, মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলবদল ঘিরে জল্পনা
সোমবার বিধানসভায় স্পিকারের কাছ থেকে জয়ের শংসাপত্র নিতে আসেন সুস্মিতা দেব ৷ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় পদ ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন সুস্মিতা দেব ৷ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি ৷ আর তারপরই একের পর এক গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে ৷ আর এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকেই রাজ্যসভায় পাঠানো হল সুস্মিতাকে ৷