কলকাতা, 29 এপ্রিল: কলকাতা ও হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে যুক্ত মোট চারজনের শরীরে কোরোনা সংক্রমণ দেখা দেয় । তাঁদের মধ্যে বর্তমানে একজন সুস্থ হয়েছেন । সক্রিয় কোরোনা রোগী এই মুহূর্তে তিন । এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের জন্য বাড়তি সুরক্ষা ব্যবস্থা করেছে পোর্ট ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ।
পোর্ট ট্রাস্টের মোট আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন এক ইঞ্জিনিয়ার । তিনি নিজ়ামুদ্দিন ফেরত । বাকি তিনজন নিরাপত্তা কর্মীর কাজ করেন । তাঁদের মধ্যে একজন CISF-র জওয়ান । ইতিমধ্যেই এই চারজনের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ তাঁদের কোয়ারানটিনে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পোর্ট কর্তৃপক্ষ । পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে বন্দরের সুরক্ষা ব্যবস্থা । বন্ধনীর কাজ যেহেতু কোনও ভাবেই বন্ধ রাখা সম্ভব নয় তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে পণ্য ওঠানামার কাজ ।
পোর্ট ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিনীত কুমার জানান, "যে সব বন্দর কর্মী আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের সোয়াব টেস্ট করা হয়েছে । কারও পজ়িটিভ রেজাল্ট আসেনি । তাঁদের অবশ্য কোয়ারানটিনে রাখা হয়েছে । আমাদের নিজস্ব 18 বেডের কোয়ারানটিন তৈরি করা হয়েছে । সেখানেই রাখা হচ্ছে তাঁদের । বন্দরের ভেতর যত রকমের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া যায় সব নেওয়া হয়েছে । স্যানিটাইজ় করা হয়েছে বন্দরের অন্দরমহল । সেই সঙ্গে প্রতিটি অফিস স্যানিটাইজ়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে ।" সেই সঙ্গে কর্মীদের থার্মাল স্ক্যানিং করা হচ্ছে । এছাড়াও কর্মীদের মাস্ক, গ্লাভস, PPE দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি ৷
বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে কর্মীদের বারবার দেখানো হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি । যেটি বন্দরের এক কর্মী বানিয়েছেন । সেই ছবিতে কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা দেখানো হয়েছে । বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে তিনজন সিনিয়র অফিসার প্রতি মুহূর্তে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টিতে নজরদারি চালাচ্ছেন । পাশাপাশি বন্দরে যে কর্মীরা কাজ করছেন তাঁদের মধ্যে কারও যদি কোরোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয় তবে 50 লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর মন্ত্রক, জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ ।