কলকাতা, 12 এপ্রিল : বিভ্রান্ত দেশের সরকার। প্রস্তুতি না থাকায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হলো বলে আজ কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারকে সমালোচনা করলেন CPI(M)-এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে, সাংবাদিকদের থেকে অনেক দূরে দলীয় ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে সাংবাদিক বৈঠক করলেন CPI(M) কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য ।
কেন্দ্রীয় সরকার সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চাইছে কোরোনা ভাইরাসের অজুহাতে। র্যাপিড টেস্ট বাড়াতে হবে রাজ্য সরকারকে। তাহলেই গোষ্ঠী সংক্রমণ রোখা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি । কেরালার উদাহরণ টেনে সূর্যকান্ত জানান, এই রাজ্যেও কেরালার মতো মানুষকে ত্রাণ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। র্যাপিড টেস্ট বাড়ানো দরকার। তাঁর অভিযোগ, কোরোনায় মারা গেলে অনেক ক্ষেত্রে রোগী বিমার টাকা পাচ্ছেন না। কারণ রাজ্য সরকার মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কথা না লিখে মৃত্যুর কারণ হিসেবে অন্য কোনো রোগের উল্লেখ করেছেন। সরকারের সাহস হচ্ছে না কোন কোন এলাকা হটস্পট হয়েছে তা বিস্তারিত ভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরার। কোরোনার সংক্রমণের জেরে দেশে এবং রাজ্যে অর্থনৈতিক সংকট ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে মত প্রকাশ করেচেন সূর্যকান্ত মিশ্র।
তিনি বলেন,"কোটি কোটি মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। খাদ্য নেই। অর্থ নেই। জনধন যোজনা আরও বেশি মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে অর্থের জোগান দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে" প্রত্যেক পরিবারকে মাসে 35 কেজি খাদ্যশস্য দেওয়ার আবেদন জানানোর পাশাপাশি সূর্যকান্ত মিশ্রের দাবি, যাদের রেশন কার্ড নেই, তাদেরকেও পর্যাপ্ত রেশন বন্টন করতে হবে। অনাহারে যেন দেশ এবং এই রাজ্যের কেউ মারা না যান। কৃষি-শিল্প ক্ষেতমজুররা কি করবেন, কাজের পরিস্থিতি না থাকলে তাঁদের ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 100 দিনের কাজকে বৃদ্ধি করে 150 দিনের করার পরামর্শও দিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি ঋণ মুকুব করুন এই দাবি তাঁর। তিনি বলেন, চা এবং চট শিল্পের সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, তাঁদেরকে বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, না হলে সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়বে। রাজ্যের বাইরে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এখনো হেল্পলাইন খোলা হয়নি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে, অভিযোগ করে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, স্পেশাল ট্রেন চালিয়ে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের এ রাজ্যে নিয়ে এসে স্কুল-কলেজগুলোতে আইসোলেশন রাখা উচিত ছিল সরকারের।