কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর : কোরোনা আবহে ফি মকুবের দাবিতে একাধিকবার পথে নেমেছিল বহু বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের যৌথ সংগঠন ইউনাইটেড গার্জিয়ানস ফোরাম । আজ আবারও হাজরা মোড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করল তারা । আজ দুপুর 2 টো থেকে হাজরা পার্কের সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থানে সামিল হলেন বহু বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকরা । কর্মসূচি থেকে হাইকোর্টের কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন ও বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের কাছে রেগুলেটরি কমিটি গড়ার দাবি তুললেন তাঁরা ।
ফি মকুবের দাবিতে হাজরায় অবস্থান বিক্ষোভ অভিভাবক সংগঠনের - fee waiver
ফি মকুবের দাবিতে হাজরা মোড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে অভিভাবকদের সংগঠন ইউনাইটেড গার্জিয়ানস ফোরাম ।
আজকের কর্মসূচি নিয়ে ইউনাইটেড গার্জিয়ানস ফোরামের আহ্বায়ক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "দীর্ঘ ছয়মাস ধরে কোরোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের আন্দোলন চলছে । যে পরিষেবা আমরা পাচ্ছি না সেই পরিষেবার জন্য আমরা কোনও অর্থ দেব না । এই দাবিতে যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে আজকে আমরা অবস্থানের কর্মসূচি নিয়েছি ও এখানে একত্রিত হয়েছি । সমাজের বিশিষ্টজনরা এখানে আসবেন এবং আমাদের আন্দোলনের সমর্থনে বক্তব্য রাখবেন।" মিরাতুন নাহার, বিশিষ্ট গায়ক সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রীতম মুখোপাধ্যায়, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পবিত্র গুপ্ত, সুজাত ভদ্র, অমল মুখোপাধ্যায়সহ বহু বিশিষ্টজন তাঁদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন সুপ্রিয় ভট্টাচার্য ।
নিজেদের দাবি নিয়ে সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, "হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত একটা কেস চলছে । সেখানেও আমাদের ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে তিনজন অ্যাডভোকেট দাঁড়িয়েছেন ও তাঁরা লড়ছেন । হাইকোর্ট নিযুক্ত দুই সদস্যের কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সেই কমিটির রিপোর্ট প্রমাণ করে দিয়েছে যে অভিভাবকদের দাবি কতটা সঠিক । 30টা হেড তাঁরা নির্দিষ্ট করেছেন । হেডগুলিতে এই কোরোনা পরিস্থিতিতে কোনও ফি নেওয়ার প্রয়োজন নেই । কোর্টের অর্ডারশিটে রয়েছে, স্কুলগুলি কমিটির কাছে যে রিপোর্ট দিয়েছে সেগুলি ফ্যালাসিতে ভরতি । এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আমরা মহামান্য আদালতের কাছে ইউনাইটেড গার্জিয়ানস অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বেসরকারি স্কুলের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আবেদন করছি । আশা করি আমরা ন্যায়বিচার, সুবিচার পাব । সরকারের কাছে আমাদের দাবি, স্কুলগুলি যদি কোর্টকে ফ্যালাসি রিপোর্ট দিতে পারে তাহলে তাদের হিসাবের স্বচ্ছতা নিয়ে সরকার তদন্ত করুক । রেগুলেটরি কমিটি গঠন করুক এবং বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য আইন তৈরি করুক । এই দাবিতেই আজকে আমাদের এই অবস্থান ।"