কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর : ফের পথে নামবে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা । শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্তদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ।
রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শংকর সিংহ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনের যে ক্ষয় হয় সেটা পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বেতন কমিশন গঠন করে । বেতন কমিশন অল ইন্ডিয়া কনজ়ুমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধনের বা বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করে । সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি সেই সুপারিশ গ্রহণ করে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করে । বাজার মূল্যের সঙ্গে বেতনের সমতা ফেরানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করে সরকার । এই রাজ্যে দীর্ঘ 14 বছর পর বকেয়া 41 শতাংশ মহার্ঘভাতা না মিটিয়ে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকরী করার আদেশনামা প্রকাশ করে সরকার । জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের আরও এক কিস্তি মহার্ঘভাতা বকেয়া রয়েছে । সেটাকে যুক্ত করলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা ৫০ শতাংশের বেশি । এ ছাড়াও রাজ্য সরকার বিগত চার বছরের এরিয়ার দেবে না বলেছে । স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সমাবেশ থেকে এ কথা ঘোষণা করেছেন । বিজয়শংকরবাবুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের লক্ষাধিক টাকার বেতন ভাতা বৃদ্ধি, ক্লাবকে টাকা, পুজোর জন্য টাকা দেওয়া, উৎসব, কার্নিভালে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে । অথচ কর্মচারী সমাজ, শিক্ষক, প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আর্থিকভাবে অসম্মান করা হচ্ছে ৷ আর্থিক বঞ্চনার শিকার রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তরা । রাজ্য সরকারের এই ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার ফলে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী, এবং প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পাহাড়প্রমাণ আর্থিক বঞ্চনার শিকার হবেন যা সমগ্র ভারতে কোথাও হয়নি ৷