কলকাতা, 15 নভেম্বর : প্রতি বুথেই চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী । না হলে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব নয় । রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) দপ্তরে ডেপুটেশন দিয়ে এমন কথাই জানাল শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ । আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রতিটি ভোটকর্মীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয় ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে । ডেপুটি CEO রাহুল নাথ জানিয়েছেন, ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ।
উপনির্বাচনে প্রতি বুথে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী, দাবি জানাল ঐক্যমঞ্চ - প্রতি বুথে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী
আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রতিটি বুথে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী । রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে ডেপুটেশন দিয়ে এমন কথাই জানাল শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ । ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানানো হয়েছে ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে ।
![উপনির্বাচনে প্রতি বুথে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী, দাবি জানাল ঐক্যমঞ্চ](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-5070829-thumbnail-3x2-ele.jpg)
গত লোকসভা নির্বাচনে জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়ে ভোটকর্মী আন্দোলন । তার নেপথ্যে ছিল ঐক্যমঞ্চ । সেই আন্দোলন একটা সময় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল । লোকসভা নির্বাচনেও তাদের দাবি ছিল, প্রতি বুথে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী । রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় লোকসভা নির্বাচন । আসন্ন 3 উপনির্বাচনেও তাঁরা একই দাবি জানালেন । আসলে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রিজ়াইডিং অফিসার হিসাবে কর্মরত অবস্থায় রায়গঞ্জের রহতপুর হাই মাদ্রাসার তরুণ শিক্ষক রাজকুমার রায়ের রহস্যজনক নিখোঁজ ও তারপর রেললাইনের ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ পাওয়া যায় । সেই সূত্রেই তাদের দাবি উপযুক্ত নিরাপত্তার ।আজ ঐক্যমঞ্চের প্রতিনিধিদল যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনেও । কমিশনের নির্ধারিত কুড়ি লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের অর্থ তাঁর পরিবার পায়নি বলে দাবি করেন তাঁরা । দেওয়া হয় ডেপুটেশন । তারপর ETV ভারতকে ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, "আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনার সৌরভ কুমার দাস এবং সেক্রেটারি নীলাঞ্জন শান্ডিল্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অতি দ্রুত রাজকুমার রায়ের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানাই । কমিশনার আমাদের বলেন, তিনি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি খোঁজ নেবেন এবং খুব তাড়াতাড়ি তিনি ব্যক্তিগতভাবে রায়গঞ্জের জেলাশাসকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে এ ব্যাপারে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায় তার জন্য ভূমিকা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন । আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, কোনও অজুহাতেই রাজকুমার রায়ের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে টালবাহানা করা চলবে না । অন্যদিকে, রাজকুমার রায়ের হত্যার প্রকৃত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমাদের লড়াই জারি থাকবে । "