কলকাতা, 13 জুলাই : এবার উপ-নির্বাচন (By Election) নিয়েও পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ও তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গেল ৷ একদিকে তৃণমূল যখন দ্রুত উপ-নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে ৷ অন্যদিকে বিজেপির প্রশ্ন, উপ-নির্বাচন নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করার কী আছে ?
পশ্চিমবঙ্গে সাতটি বিধানসভা আসন এখন বিধায়কহীন ৷ কিন্তু সব আসন ছেড়ে উপ-নির্বাচনে যে বিশেষ আসনের দিকে সবাই তাকিয়ে, তা হল কলকাতার ভবানীপুর ৷ কারণ, ওই আসনে জিতেও পদত্যাগ করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷ আর নন্দীগ্রামে (Nandigram) হেরে যাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ওই আসনে প্রার্থী হতে চলেছেন ৷ কারণ, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে হলে ছ’মাসের মধ্যে জিতে আসতে হবে তাঁকে ৷
আরও পড়ুন :Dilip-Babul : টুইটে ফলো করুন, অন্যরকম ফলো যেন না হয়; বাবুলের উদ্দেশে দিলীপ
এই বিষয়টি বিলক্ষণ জানেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷ তাই মঙ্গলবার কলকাতায় তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস উপনির্বাচন নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করছে কেন ? বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে পুরসভা, কলেজের সংসদের নির্বাচন না করার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন ৷ শাসক দলের সমালোচনা করেছেন ৷
পাশাপাশি দাবি করেছেন, দেশে করোনা পরিস্থিতিতে টিকাকরণ শেষ না হলে ভোট করা উচিত নয় ৷ তিনি উত্তরাখণ্ডের উদাহরণ টেনেছেন ৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে পদে থাকতে হলে উপনির্বাচনে জিততে হবে, সেই কারণে এক বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন ৷
আরও পড়ুন :মুকুল রায় ইস্যুতে এবার দেশজুড়ে সরব হবে বিজেপি, ঘোষণা শুভেন্দুর