কলকাতা, 13 জুলাই : পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (Public Accounts Committee) বা পিএসির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy) ৷ এবার এই ইস্যুতে দেশজুড়ে সরব হতে চায় ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ৷ মঙ্গলবার এই ঘোষণা করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ৷
বিধানসভায় আট কমিটিতে বিজেপিকে চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয় ৷ মঙ্গলবার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে বিজেপির আট বিধায়ক নিজেদের ইস্তফা জমা দেন ৷ তার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) কাছে যান ৷ সেখানে তাঁরা পিএসির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নির্বাচন থেকে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন :লক্ষ্য লোকসভা, ফের বিস্তারক নিয়োগের পথে বঙ্গ বিজেপি
পরে সেখান থেকে বেরিয়ে রাজভবনের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেখানে তিনি জানান, পিএসি (PAC) নিয়ে রাজনীতি করছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ৷ তাই সব কমিটির চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাখান করেছে বিজেপি ৷ এই প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এবার শাসক দল যেটা করেছে, সেটা পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য ৷’’
নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, পিএসি-র কাজ সরকারের দুর্নীতিগুলি তুলে ধরা ৷ আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার দুর্নীতি ঢাকতে চায় বলেই মুকুল রায়কে বকলমে বিরোধী বিধায়ক দেখিয়ে এই পদ পাইয়ে দেওয়া হল ৷
আরও পড়ুন :নন্দীগ্রাম মামলা বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে, চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা
তাঁর দাবি, মুকুল রায় সংবাদমাধ্যমের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ করেছেন ৷ তিনি বিজেপি নেতাকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দান করিয়েছেন ৷ সেটাও সংবাদমাধ্যমের সামনে হয়েছে ৷ টুইটারে তিনি (মুকুল রায়) নিজেকে তৃণমূল নেতা হিসেবে ঘোষণা করেছেন ৷ অথচ বিধানসভার অধ্যক্ষ বলছেন যে মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক ৷
রাজভবনের সামনে শুভেন্দু অধিকারীর সাংবাদিক বৈঠক এর পরই শাসক দলের উদ্দেশ্যে তাঁর হুঁশিয়ারি, এর সমস্ত তথ্য প্রমাণ তাঁদের কাছে আছে ৷ তাঁরা এই নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ৷ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার (Om Birla) সঙ্গে ফোনেও কথাও বলেছেন ৷ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind) ও লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে এই নথি তুলে দেওয়া হবে ৷ ভারতের অন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভার অধ্যক্ষদেরও এই নথি পাঠানো হবে ৷ পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে, সেটা তুলে ধরতেই এই নথি সারাদেশে পাঠানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন :দ্রুত উপনির্বাচন করানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল
একই সঙ্গে বিধানসভার উপনির্বাচন করতে তৃণমূল কংগ্রেস যে কমিশনে যাচ্ছে, তা নিয়েও তিনি কটাক্ষ করেছেন ৷ তাঁর জবাব, যারা পশ্চিমবঙ্গে পুরসভা, পঞ্চায়েত, কলেজের ছাত্র সংসদের ভোট করতে পারে না ৷ তাদের উপনির্বাচন নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করছে কেন? ভ্যাকসিনেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভোটের পরিস্থিতি নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন ৷