কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর : শুভেন্দু-দিলীপের নিশানায় মুকুল ৷ এক এক করে বিধায়করা শাসক শিবিরে যোগ দিচ্ছেন ৷ এমন আরও দেবেন বলে শাসকদের তরফে এক প্রকার স্পষ্ট ঘোষণাও করা হচ্ছে ৷ এমতাবস্থায় দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রেক্ষিতে সলতে পাকাতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির ৷ বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ এবং বাগদার বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর ইতিমধ্যেই তাঁদের দলের তরফে নোটিস পাঠানো হয়ে গিয়েছে ৷ এদিন বিধায়কদের নিয়ে পরিষদীয় দলের বৈঠকও সাড়া হয়েছে ৷ শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে, রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন তারা লাগু করতে দিচ্ছে না ৷ সেই অভিযোগের যুক্তি সম্পূর্ণ করতে গিয়েই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আক্রমণের ফলায় এসেছেন মুকুল রায় (Mukul Roy) ৷
তৃণমূল থেকে বিজেপি হয়ে গত বিধানসভা নির্বাচনের পর ফের তৃণমূলে ফেরত যাওয়া মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবির দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেছে ৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু জানান, তাঁরা সেই মামলার শুনানিতে নিয়ম মতো হাজিরও থেকেছেন ৷ আইনি যা যা পদক্ষেপ করার তা তাঁরা করবেন বলেও স্পষ্ট করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) ৷
অগস্টের শুরুতে কৃষ্ণনগরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির প্রশংসা করে ফেলেন মুকুল ৷ সেদিন তৃণমূল কংগ্রেস পর্যুদস্ত হবে বলে মন্তব্য করে বসেন তিনি । তৃণমূলে ফেরত যাওয়ার পর মুকুলের মুখে এমন কথায় নড়েচড়ে বসে রাজনৈতিক মহল ৷ পরে ছেলে শুভ্রাংশু 'মা চলে যাওয়ার পর বাবা নিজেকে সামলাতে পারছেন না... তাঁর শরীর খুব খারাপ যাচ্ছে...' ইত্যাদি বলে সামাল দেন ৷ সেই ঘটনার সূত্র টেনেই শুভেন্দু এদিন দাবি করেন, তৃণমূল কংগ্রেস মুকুল রায়কে অসুস্থ সাজিয়ে রেখে আইনি প্রক্রিয়ায় দীর্ঘায়িত করছে ৷ তবে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু বলেন, "তবে আমরা এর চূড়ান্ত পরিণতি দেখেই ছাড়ব ৷"