কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর : দেশের উত্তর-পূর্বের প্রতিনিধিকে রাজ্যসভায় জায়গা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইতিহাস তৈরি করলেন । এমনটাই মনে করেন সুস্মিতা দেব (Susmita Dev) ৷ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মনোনয়ন জমা দিতে এসে এই কথাই জানালেন তিনি ৷
একই সঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘এটা উত্তর-পূর্বের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সম্পর্কের জন্য একটা প্রভাবশালী দৃষ্টান্ত তৈরি করবে । আমি চেষ্টা করব আগামিদিনে উত্তর-পূর্ব তথা ত্রিপুরায় দলের সাংগঠনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে ।’’
আরও পড়ুন :Suvendu-Kunal : টুইট যুদ্ধে শুভেন্দুর ‘মা কালী’ স্মরণ, পাল্টা ‘মা দুর্গা’র শরণাপন্ন কুণাল
পাশাপাশি তুলে ধরলেন তাঁর বাবা প্রয়াত কংগ্রেস (Congress) নেতা সন্তোষমোহন দেবের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সখ্যতা নিয়েও ৷ বললেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বাবার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল । আজ থেকে আমি বাংলার একজন হয়ে গেলাম ।’’ তাঁর দাবি, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা সব শ্রেণির মানুষের কথা রাজ্যসভায় এবং লোকসভায় পৌঁছে দিতে চান । এর থেকে বোঝা যায় তৃণমূল নেত্রীর ভাবনা কত দৃঢ় এবং সুদূরপ্রসারী ।
মনোনয়ন পেশ করে ত্রিপুরায় তৃণমূলের শক্তি বাড়ানোর আশ্বাস সন্তোষ-কন্যা সুস্মিতার উল্লেখ্য, এদিন প্রবল বর্ষার মধ্যেই দুপুরবেলায় রাজ্য বিধানসভায় আসেন সুস্মিতা দেব । সেখান থেকে তিনি সরাসরি চলে যান রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে । এরপর তৃণমূলের পরিষদীয় সদস্যদের সঙ্গে নিয়েই মনোনয়ন জমা দেওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন তিনি ।
আরও পড়ুন :Mamata-Babul: ইউরিয়া দেওয়া নয়, দিদির পরামর্শে বাবুল এবার খাবেন গ্রামের মুড়ি
এদিকে এদিন সুস্মিতা দেব বিধানসভায় আসার কিছু আগেই বিজেপির তরফ থেকে ঘোষণা করা হয় রাজ্যসভার ভোটে প্রার্থী দেবে না বিজেপি (BJP) । ফলে তৃণমূল প্রার্থী সুস্মিতা দেবের রাজ্যসভার (Rajyasabha) ভোটে জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা ।
এদিন এই প্রসঙ্গে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাই না ৷ তবে আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আমার একটা অবিচ্ছেদ্য যোগাযোগ তৈরি হল । সংসদের ভেতরে বাইরে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের দাবি দাওয়া নিয়ে আমি সরব হব । একইসঙ্গে দল যে দায়িত্ব আমাকে দেবে সে দায়িত্ব পালন করব ।’’
আরও পড়ুন :Post Poll Violence: সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ, মামলা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের