কলকাতা, 3 জানুয়ারি: আগামীকাল থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফ্যাকাল্টির স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে চলেছে । ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে কোর্স ও সেমেস্টার ভিত্তিক অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার । আর সেখানেই দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের গরমের ছুটি কমিয়ে প্রায় 1 সপ্তাহ করা হয়েছে । অগাস্ট মাসের পরিবর্তে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে 4 জানুয়ারি থেকে । বিপুল পরিমাণ এই সময়কে কাটছাট করতেই গরমের ছুটিতে কোপ পড়েছে ৷ যা করতে বাধ্য হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।
আরও পড়ুন: ৪ জানুয়ারি থেকে রোজ খোলা থাকবে যাদবপুরের সব দপ্তর
2020-21 শিক্ষাবর্ষের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, জুলাই মাসের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় সিমেস্টারের ক্লাস ও পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে । দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা 14 জুলাই শুরু হয়ে 14 জুলাই পর্যন্ত চলবে । তারপরে সাত দিনের ছুটি দিয়ে অগাস্ট মাস থেকে দ্বিতীয় বর্ষের অর্থাৎ, তৃতীয় সিমেস্টারের ক্লাস শুরু হয়ে যাবে । প্রতি বছর সাধারণত দেড় মাসের গ্রীষ্মাবকাশ থাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে । যা মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলে । তারপরেই শুরু হয় দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস । চলতি বছর সেই ছুটির মেয়াদ কমিয়ে এক সপ্তাহ করা হয়েছে, যাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পরামর্শ মেনে অগাস্ট মাস থেকে দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু করা যায় । ছুটির মেয়াদ কমানোর এই সিদ্ধান্ত 20 ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন: এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই ইস্তফা যাদবপুরের ডিন অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির
ছুটির মেয়াদ কমানোর বিষয়ে যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিংয় অ্যান্ড টেকনোলজির ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের এক সদস্য বলেন, "শুধুমাত্র স্নাতকের প্রথম বর্ষের জন্য ছুটির মেয়াদ কমানো হয়েছে । ওই সময়ে অন্যান্য বর্ষের পড়ুয়ারা ইন্টার্নশিপ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং, ইন্টারন্যাশনাল ফেলোশিপ বা এই ধরনের প্রোগ্রাম করে । তাই সেমেস্টারের মাঝে একটা ব্রেক থাকে । কিন্তু, প্রথম বর্ষে সেটা এবার করা যায়নি । তবে, অন্য বর্ষের ক্ষেত্রে সেই ব্রেকটা রয়েছে । যেহেতু, এবার শিক্ষাবর্ষটাই অনেক দেরিতে হয়েছে । UGC-ও বলেছে পরের শিক্ষাবর্ষ অগাস্ট মাস থেকে শুরু করতে । সেটা করতে হলে জুলাইয়ের মধ্যে প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শেষ করে ফেলতে হবে । তাই এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম সিমেস্টার করিয়ে, দ্বিতীয় সিমেস্টার জুলাই মাসে শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে । প্রথম বছরের জন্য এটা করা দরকার ছিল । এই বছর এ-ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না ।"