কলকাতা, 26 জানুয়ারি : রাজ্যপালের পদটি রাজনীতি করার জন্য নয় ৷ অথবা তাঁর পদ কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষকে সমর্থন করবে ৷ এটাও কাম্য নয় ৷ বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠককে ঘিরে অধ্যক্ষ এবং রাজ্যপালের মধ্যে তৈরি হওয়া বিতর্কে এমনটাই জানালেন সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty on Governor Statement in Assembly) ৷ তাঁর মতে, বিজেপি এবং তৃণমূল রাজ্যপালের পদকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে পছন্দ করে ৷ একসময় তৃণমূল সেটাই করেছে বলে কটাক্ষ করেন সুজন (Sujan Chakraborty Criticise BJP and TMC for Politicise Governor Chair) ৷
গতকাল বিধানসভায় ড. বিআর আম্বেদকরের মূর্তিতে সম্মান জানাতে গিয়ে রাজ্য সরকার এবং তার আধিকারিকদের ভূমিকার সমালোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের এমন আচরণের নিন্দা করে বলেন, রাজ্যপাল বিধানসভার গরিমা নষ্ট করেছেন ৷ রাজ্যপালের বক্তব্যের রেকর্ডিং বিধানসভায় জমাও দিতে বলেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
রাজ্যপালকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে পছন্দ করে বিজেপি তৃণমূল : সুজন যে ঘটনাকে কটাক্ষ করে সুজন চক্রবর্তী বলেন, বিধানসভায় সরকারের বিরোধী কোন কাজের সম্প্রচার হলে বা প্রকাশ হলে কৈয়ফত তলব করা হয়েছে ৷ সাংবাদিকদের চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কারও বক্তব্য সম্প্রচার হয় না ৷ বিরোধীদের কথা ছাড়ুন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলার সময় ক্যামেরা বন্ধ করে রাখা হয় ৷ প্রশাসনিক বৈঠকে পরাজিত বিধায়করা ডাক পান অথচ জয়ীরা আমন্ত্রণ পান না ৷ এই কাজগুলো কার নির্দেশে হয় সবাই জানে ৷
আরও পড়ুন : Biman Banerjee on Jagdeep Dhankhar: রাজ্যপাল এবার বিধানসভায় আসতে চাইলে কারণ জানতে চাইব: বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
পাশাপাশি, রাজ্যপালের একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কথা বলার বিষয়টির নিন্দাও করেছেন সুজন ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেপি এটা পছন্দ করে ৷ আর অতীতে তৃণমূলও এমনটা করেছে বলে খোঁচা দেন সুজন ৷ প্রসঙ্গত, বাম আমলে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে তৎকালীন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধির যাওয়ার বিষয়টিকেই খুঁচিয়ে দিয়েছেন সুজন ৷