কলকাতা, 10 মার্চ : লোকসভা নির্বাচনে EVM-এ কারচুপি হয়েছিল । দাবি করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গত বছর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চেও EVM-এর বিরুদ্ধে রীতিমতো তোপ দেগেছিলেন তিনি । জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের সব ভোট হবে ব্যালটেই । পৌর নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি বলছে ফিরতে চলেছে ব্যালট ৷ কলকাতা, হাওড়া পৌরনিগমের নির্বাচন হবে ব্যালটেই । নির্বাচন কোন মাধ্যমে হবে তা ঠিক করার অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র কমিশনের । এক্ষেত্রে রাজ্যের শাসকদলের দাবি মেনেই কি পৌর নির্বাচনে ব্যালট ব্যবহার হবে? উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন ৷
পঞ্চায়েত ভোট ব্যালট পেপারে হলেও EVM ব্যবহার শুরুর পর থেকে পৌর ভোট হচ্ছে তাতেই । উপ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ব্যবহার হয় EVM ৷ এমনকী লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কলকাতা পৌরনিগমের উপনির্বাচনেও ব্যবহার হয়েছিল EVM ৷ সেই উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম । আসন্ন পৌরসভা এবং পৌরনিগমের নির্বাচনেও EVM-এর দিকেই পাল্লা ভারী ছিল । নির্বাচন কমিশনের বড় অংশ চাইছিল ভোট হোক EVM-এ । রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই মুহূর্তে কুড়ি হাজারের কিছু বেশি ভোটিং মেশিন রয়েছে । সেগুলি স্ট্রংরুমে সুরক্ষিত অবস্থায় রাখা আছে । যদিও সেই মেশিন M2 প্রজাতির । কিন্তু দেশের নির্বাচন কমিশন এখন ব্যবহার করছে M3 । দেশের নির্বাচন কমিশনের দাবি, এই মেশিনের টেম্পারিং কিংবা হ্যাকিং কোনওভাবেই সম্ভব নয় । পাশাপাশি স্বচ্ছতার প্রয়োজনে গত লোকসভা নির্বাচনে সবক'টি বুথে ব্যবহার করা হয়েছিল VVPAT । সেগুলি বানিয়েছিল ECIL । যার প্রস্তুতকারী ইউনিট রয়েছে হায়দরাবাদে । এখন EVM-এর রয়েছে তিনটি ইউনিট । ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন, কন্ট্রোল ইউনিট এবং VVPAT । মাসখানেক আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে আসে ECIL-এর প্রতিনিধিরা । তাঁরা দেখিয়ে যান M3 মেশিনের ডেমো । তবে ওই মেশিনে পেটেন্ট রয়েছে দেশে নির্বাচন কমিশনের । সেই সূত্রে ওই দিন দেখা হয় M2 মেশিনের সঙ্গে VVPAT কাজ করছে কি না । কিন্তু তারপর পুরো বিষয়টি 180 ডিগ্রি ঘুরে যায় ।