কলকাতা, 7জুলাই : আগেও অবস্থা ভালো ছিল না ৷তবে,লকডাউনেরাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির সংকট বেড়েছে ৷ কোরোনা আবহাওয়ায় ব্যাঙ্কগুলির লেনদেনওকমেছে । মূলত প্রান্তিক মানুষেরা উপকৃত হন এই ব্যাঙ্কগুলির সাহায্যে ৷ কৃষকেরাচাষের কাজের জন্য ঋণ নেন ৷ সেই ঋণ দেওয়ার পরিমাণও কমে গিয়েছে ৷ বিরোধীদের অভিযোগ,আজকাল ঋণ পেতে হলে শাসক দলের নেতা,বিধায়কদের সুপারিশ লাগে ৷ ব্যাঙ্ককর্মচারী সংগঠনের নেতার কথায় কেন্দ্রের একতরফা নীতিই সমবায় ব্যাঙ্কের সংকটের কারণ৷ ব্যাঙ্কগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত তারা ৷ সমস্যা যেদিক থেকেই আসুক তা যে রয়েছেতা স্পষ্ট ৷ ফলস্বরূপ দিনে দিনে দুর্বল হয়ে পড়ছে রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা৷
সমবায়ব্যাঙ্কের48টিশাখা রয়েছে এ রাজ্যে । জেলা সমবায় ব্যাঙ্কের শাখার সংখ্যা360। চলতি বছরে রাজ্যের সবকটি জেলামিলিয়ে মোট196337টিকিষান ক্রেডিট কার্ড বিলি করা হয়েছে । যা বিগত বছরগুলির তুলনায় কম ৷2018-19ও2019-20আর্থিক বছরে যথাক্রমে203376টি ও198898টি কিষান ক্রেডিট কার্ড বিলি করাহয়েছিল । গত দুই আর্থিক বছরের তুলনায় কিষান ক্রেডিট কার্ড কমেছে7039ও2561টি ৷ রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক সূত্রে জানাগিয়েছে,এবারবাঁকুড়া,বীরভূম,বর্ধমান,দুই দিনাজপুর,দার্জিলিং,হুগলি,হাওড়া,জলপাইগুড়ি,মালদা,দুই মেদিনীপুর,নদিয়া,মুর্শিদাবাদ,পুরুলিয়া,রায়গঞ্জ,কোচবিহার ও দুই24পরগনার জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক এবংকেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কিষান ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে ।অন্যদিকে,গতআর্থিক বছরের তুলনায় রাজ্যের স্বীকৃত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণদানের পরিমাণ কমেছে52লাখ20হাজার টাকা। আর শস্যঋণ পেয়েছেন14লাখ25হাজার153জন কৃষক ।
মুর্শিদাবাদেরসালারের কৃষক ওয়েদুল ইসলাম কথায়, "2018সালে চাষের জন্য সমবায় ব্যাঙ্ক থেকেশেষবার ঋণ পেয়েছিলাম ৷ গত দু'বছর আবেদন করেও ঋণ পাইনি ৷"
অথচ,অধিকাংশ কৃষক সময়মতো ঋণ পরিশোধ করেছেন। ব্যাঙ্ক ঋণের77.31শতাংশপরিশোধ হয়েছে । এরাজ্যের14988টিসরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীও সিংহভাগ ঋণ শোধ করেছে । অর্থাৎ,গরিব চাষি হোক বা স্বনির্ভর গোষ্ঠী,প্রত্যেকেই ঋণ নিয়ে তা পরিশোধও করেছেন৷ প্রশ্ন হল,তারপরেওসমবায় ব্যাঙ্কগুলি দিন দিন রুগ্ন হয়ে পড়ছে কেন?
বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে সমবায় ব্যাঙ্ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে । সমবায়ব্যাঙ্কগুলি অতীতে যেভাবে সাহায্য করত কৃষকদের এখন তা হচ্ছে না ৷