কলকাতা, 25 মে :একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে এ রাজ্যেদলবদলের যে হিড়িক পড়েছিল তা গিয়ে এখনও চলছে স্বমহিমায় ৷ পার্থক্য একটাই ৷ তখন তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার হিড়িক পড়েছিল ৷ এখন সেটা বিজেপি ৷ দুই দলের ছোট, বড়, মেজাে নেতাদের এই আসা-যাওয়ার খেলা দেখে অভ্যস্ত রাজ্যবাসী ৷ গেরুয়া শিবিরকে বড় ঝটকা দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ এরপর পদ্মশিবিরের অন্দরে বেসুরো শুনিয়েছে অনেককেই ৷ তার মধ্যে সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগ নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল ৷ আর বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের তৃণমূলে ফিরে আসার ঘটনা তো একেবারে টাটকা ৷ ফলে এ রাজ্যে বিজেপির সাংসদ কমে দাঁড়িয়েছে 16 ৷
রাজ্য বিজেপির নেতারা পাত্তা না দেওয়ার মনোভাব দেখালেও অর্জুনের দলত্যাগের বিষয়টি বেশ ভাবিয়েছে তুলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ৷ পাটশিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে রব তোলা অর্জুন সিং কিছুদিন আগেও দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন ৷ সেই অর্জুনই সকলকে চমকে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন ৷ তলে তলে যে দল ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন তা ঘূণাক্ষরেও জানতে পারেননি রাজ্য বিজেপির নেতারা ৷ যা নিয়ে অসন্তুষ্ট শাহ-নাড্ডারা ৷ জল্পনা, রাজ্যের বিজেপি নেতাদের হাঁড়ির খবর জানতে গোপনে তদন্ত কমিটি গড়েছেন অমিত শাহ (secret investigation committee formed by Amit Shah) ৷ মূলত বাংলার বিধায়ক ও সাংসদের নজরদারি করবে এই টিম ৷
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বেশ কিছু বিধায়ক ও সাংসদ গোপনে শাসক শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ৷ যা গেরুয়া শিবিরের রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ৷ অর্জুনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলার বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের উপর চুপিসারে চলবে নজরদারি ৷ পরে দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহকে গিয়ে রিপোর্ট করবেন ৷ এই কমিটিতে কারা কারা থাকবেন সেটাও যে গোপন থাকবে তা বলাই বাহুল্য ৷ দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আসন্ন ৷ সেখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ক্রসভোটিংয়ের আশঙ্কা করছে । তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে দিল্লি সূত্রে খবর ।