কলকাতা, 30 জুন : আরামবাগ টিভির সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবের সম্পাদককে স্কারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় BJP-র যুব মোর্চা । এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিতে যুব মোর্চার পক্ষ থেকে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে জমায়েত করা হয় । নেতৃত্ব দেন যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কিন্তু কোরোনার জন্য সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে পুলিশ BJP-র নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়। এরপর বিপত্তি। BJP-র যুব মোর্চার কার্যকর্তাদের সঙ্গে ধুন্ধুমার বেধে যায় পুলিশের । যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সহ প্রায় 10 জন কার্যকর্তাকে গ্রেপ্তার করে লালবাজারর সেন্ট্রাল লকআপে নিয়ে যাওয়া হয়।
যুব মোর্চার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার, গ্রেপ্তার সৌমিত্র খাঁ - গ্রেপ্তার সৌমিত্র খাঁ
আজ কলকাতা প্রেস ক্লাবের সম্পাদককে স্মারকলিপি দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয় BJP-র যুব মোর্চার নেতা-কর্মীদের ৷ পুলিশ গ্রেপ্তার করে যুব মোর্চার সম্পাদক সৌমিত্র খাঁ-সহ অন্য নেতা-কর্মীদের ৷
যুব মোর্চার মূল দাবি, কোরোনার মধ্যে রাজ্য সরকার আরামবাগের বেশ কিছু ক্লাবকে কয়েক লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য করে। এই খবর প্রকাশিত করার ফলে আরামবাগ টিভির সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে বিনা কারণে গ্রেপ্তার করা হয় । যেহুতু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি খবর প্রকাশিত করেছেন, তাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ অবিলম্বে আরামবাগ টিভির সম্পাদককে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সৌমিত্র খাঁ বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সামাজিক দূরত্ব মেনে আজ প্রেস ক্লাবের সম্পাদককে একটা স্মারকলিপি প্রদান করতে গিয়েছিলাম। কিন্ত পুলিশ আমাদের মারধর করে পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের মহিলা কার্যকর্তাদের গায়েও হাত দেওয়া হয়।"
আরামবাগ টিভির সম্পাদক শফিকুল ইসলামের গ্রেপ্তারি নিয়ে টুইটে ক্ষোভপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ৷ তিনি লেখেন, "অস্তিত্বহীন ক্লাবগুলিতে সরকারী অর্থ বিতরণের সত্যতা ফাঁস করার জন্য সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৷ এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ মানে গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ ৷"