সরকার মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানুষকে: সোমেন মিত্র
কেন্দ্রের BJP সরকার এবং রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কোরোনা ও আমফান পরবর্তী সময়ে নগ্ন রাজনীতি করে দেশের গরিব মানুষদের খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে। নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সরকারের এই ষড়যন্ত্র, বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের।
কলকাতা, 4 জুন: গত ছয় মাস রাজ্য সরকার কোন সংবাদ মাধ্যমকে, কত টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে, তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। দাবি প্রদেশ কংগ্রেসের। কেন্দ্রের BJP সরকার এবং রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কোরোনা অতিমারি এবং আমফান পরবর্তী সময়ে নগ্ন রাজনীতি করে দেশের গরিব মানুষদের খাদের কিনারায় নিয়ে এসেছে। নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে সরকারের এই ষড়যন্ত্র, বলে অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।
এই মুহূর্তে রাজ্যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লকডাউন শিথিল করার ফলে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বাড়তে পাবে বলে আশঙ্কা সোমেন মিত্রের।
দুই সরকারেরই পাখির চোখ এখন 2021 এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন। দেশের গৃহমন্ত্রীর যখন মানুষকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করা উচিত, তখন তিনি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই রাজ্যে BJP ক্ষমতায় আসার গল্প শোনাচ্ছেন। এদের দেশের মন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে তো? প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিি।
দেশে যখন কোরোনা ভাইরাস দোরগোড়ায় তখন প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার ভাঙতে। আর এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে এবং রাস্তায় রাস্তায় গোল দাগ কেটে বেড়াচ্ছিলেন। অমিত শাহ বলেই দিলেন, কোরোনা মোকাবিলায় ভারত আমেরিকার থেকে ভালো জায়গায় আছে। কিন্তু তিনি এটা বললেন না যে দেশে কত সংখ্যক মানুষের টেস্ট হয়েছে, এবং আমেরিকার কত মানুষের টেস্ট হয়েছে। এটাও বললেন না যে, সংক্রমণের নিরিখে এখন বিশ্বে ভারতবর্ষ সাত নম্বরে আছে। খেলা শেষ হওয়ার আগেই তো নিজেরাই জয় ঘোষণা করে দিচ্ছেন বললেন মন্ব্য্ন্ন ত্ত্ত্র্ত্ঽ সৌমেন মিত্র।
সারাদেশের মতো এ রাজ্যেও লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, প্রথমে মদের দোকান খুলে দেওয়া হয়েছিল। এখন তো সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। বাস-ট্যাক্সি, অটোতে যেভাবে মানুষ গাদাগাদি করে যাচ্ছেন তা দেখে শিউরে উঠছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব, জানিয়েছেন সোমেন মিত্র।
অবিলম্বে পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান এবং এককালীন আর্থিক সাহায্যের দাবি জানানো হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন," এই রাজ্যে ত্রাণে দলবাজি ছিলই। এখন বিরোধী দল ত্রাণ দিতে গেলে তাদের আক্রমণ করা হচ্ছে। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানোকে নাটক বলা হচ্ছে। গত রবিবার বিরোধী দলের নেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী হাওড়ার শ্যামপুরে যান। অভিযোগ, তাঁরা ফিরে আসার পরেই কংগ্রেস এবং বাম কর্মীদের আক্রমণ করে রক্তাক্ত করা হয়। দক্ষিণ 24 পরগনা জেলাতেও ত্রাণ দেওয়ার সময় কংগ্রেস কর্মীদের বাধা দেওয়া হয়।''
রাজ্যের সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে শাসক দল। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সোমেন মিত্র জানান, কয়েকটি টিভি চ্যানেল ছাড়া কাউকে সাক্ষাৎকার দেন না মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যিনি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের কথা বলেন, তাঁর সরকারি নির্দেশেই তাঁর রাজ্যেই সংবাদপত্রের সম্পাদককে থানায় দীর্ঘসময় বসিয়ে জেরা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচক TV চ্যানেলগুলির সংবাদ যাতে সবার কাছে না পৌঁছায়, তার জন্য কেবল TV সংস্থাগুলোকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সোমেন মিত্র।