কলকাতা, 9 ডিসেম্বর : হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি স্কুল কুড়ি শতাংশ ফি কম নেওয়ার বিষয়টি মানছে না ৷ এই অভিযোগ করা হল কলকাতা হাইকোর্টে । বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে আজ এই মামলার শুনানি হয় ৷ মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী উল্লেখ করেন, কলকাতার একটি স্কুলে ফি দিতে না পারায় প্রায় 370 জন জনের বেশি পড়ুয়াকে স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি অনেক স্কুল কুড়ি শতাংশ কম ফি নিচ্ছে না । বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, এখনই আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না, এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ আদালত গ্রহণ করবে না । কারণ এই মুহূর্তে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে ৷ সেখানে কী হয় সেটাই বিচার্য । মামলাটি আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে শুনানি হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ।
13 নভেম্বর বেসরকারি স্কুলগুলোকে 2019-20 শিক্ষাবর্ষে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত কুড়ি শতাংশ ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ । কোরোনার কারণে কোনওরকম ল্যাবরেটরি, ক্রীড়া সংক্রান্ত ও বিনোদন সংক্রান্ত ফি এবছর নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশে দিয়েছিল আদালত । কোরোনা প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে স্কুলগুলো মোট পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ রাখতে পারবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কয়েকটি বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে ফি না কমানোর অভিযোগ - হাইকোর্ট
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী উল্লেখ করেন, কলকাতার একটি স্কুলে ফি দিতে না পারায় প্রায় 370 জন জনের বেশি পড়ুয়াকে স্কুলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে । পাশাপাশি অনেক স্কুল কুড়ি শতাংশ কম ফি নিচ্ছে না ।
আরও পড়ুন : 23 বছর পর তালিকাভুক্ত মামলা ! ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি
পাশাপাশি, কলকাতা হাইকোর্ট তিন সদস্যের কমিটিও তৈরি করে দেয় ৷ যাদের পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করার কথা ছিল । কমিটিতে রাখা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী তিলক বসু, সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং মামলাকারীদের আইনজীবীকে । এরপর স্কুলগুলোর তরফে সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয় । কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে । তবে সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কমিটির কাজ আপাতত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ৷