কলকাতা, 21 জানুয়ারি: ছৌ-নাচের মাধ্যমে কোরোনা সচেতনতার বার্তা দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। আগামী 23 জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125তম জন্মজয়ন্তী বিশেষভাবে পালনের জন্য ফের ছৌ-নাচকেই সম্বল করে নিয়েছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছৌ-বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রস্তুত করেছেন ছৌ-পালা। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনযাত্রা। 23 জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মঞ্চস্থ করা হবে প্রায় 22 মিনিটের ছৌ-পালা।
ছৌ-নাচের মাধ্যমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী পালনের বিষয়ে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর বলেন, "পুরুলিয়ার বিশেষত্ব হচ্ছে ছৌ-সংস্কৃতি। এ বার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125তম জন্মবার্ষিকী। তাই আমরা নেতাজির উপর ছৌ-পালা তৈরি করেছি। আমাদের ছৌ-বিভাগের ছেলে-মেয়েরা ওইদিনের অনুষ্ঠানে সেই পালা করবে। আমরা ওই পালা ইউটিউব ও সোশাল মিডিয়াতেও আপলোড করে দেব। আর যেহেতু কোরোনার কারণে খুব বেশি মানুষের জমায়েত করা যাবে না, তাই কম সংখ্যক মানুষ নিয়ে ওই দিনের অনুষ্ঠান হবে।"
ছৌ নাচে ফুটে উঠবে নেতাজির জীবন, সৌজন্যে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় - ছৌ-নাচ
পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আগামী 23 জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর 125তম জন্মজয়ন্তী বিশেষভাবে পালনের জন্য ছৌ-নাচকে সম্বল করে নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছৌ-বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রস্তুত করেছেন ছৌ-পালা। যার মাধ্যমে তুলে ধরা হবে সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনযাত্রা।
পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছৌ-বিভাগে স্নাতক পরবর্তী ডিপ্লোমা কোর্স করানো হয়। সঙ্গে বানানো হয় ছৌ-এর মুখোশও। কোরোনা আবহে ছৌ-নাচের মাধ্যমেই মানুষকে সচেতনতার পাঠ দিতে সচেষ্ট হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এ বার সেই ছৌ-নাচের মাধ্যমে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী পালন করতে প্রস্তুত তাঁরা। ছৌ-বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সুদীপ ভুঁই বলেন, "আমরা পালায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়কার উপর ফোকাস করেছি। উনি গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় এলগিন রোডের বাড়ি থেকে চলে গেলেন। সেখান থেকে আমাদের পালা শুরু হয়ে তাঁর অন্তর্ধান পর্যন্ত যাত্রা, কর্মকাণ্ড দেখিয়েছি আমাদের পালায়। শেষ দৃশ্যে আমরা রাখছি, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ও তাঁর আদর্শকে মানুষ কীভাবে মনে রাখছে এবং তাঁর বীরত্বের গাঁথা আপামর মানুষের মনে মিশে যাচ্ছে। এটাই পালার মধ্যে আমরা দেখাচ্ছি।"