কলকাতা, 22 ডিসেম্বর : কলকাতা পৌরভোটে বিজেপির বিপর্যয় ৷ 2015 কলকাতা পৌরভোটে ফলের নিরিখে ছিল 27 শতাংশ ভোট, কমে হল 9 শতাংশ। আসনও কমল গেরুয়া শিবিরের। মাত্র তিনেই কেন থামতে হল ? বিজেপির বিপর্যয়ে উঠে আসছে একাধিক কারণ (Several reasons rise up behind the disaster of BJP in KMC election 2021)।
বিজেপি সূত্রে খবর, কলকাতা পুরভোটে বিজেপি 5-10টি আসন অন্তত পাবে সেটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রাজ্য নেতৃত্ব রিপোর্ট জমাও দিয়েছিল (State leaders of BJP expected that they will win in 5-10 wards)। কিন্তু এতটাও খারাপ ফল হয়তো কল্পনা করেননি রাজ্য বিজেপি নেতারা ৷ তবে ফল যে খারাপ হবে সেজন্য ভিতর-ভিতর প্রস্তুতই ছিল দলের রাজ্য নেতৃত্ব ৷ শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, গায়ের জোরে ভোট করানোর অভিযোগ নয় ৷ এই বিপর্যয়ের পিছনে নিজেদেরও একাধিক গলদ দেখছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ৷ বিপর্যয়ের প্রথম এবং প্রধান কারণ হিসেবে রাজনীতির ময়দানে না থেকে আদালতের উপরে অতি নির্ভরশীল হয়ে পড়াকেই দায়ী করছে নেতৃত্বের একাংশ ৷
পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণার দিন থেকেই কার্যত আইনি লড়াইয়ে নেমে পড়েছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ৷ কখনও একসঙ্গে সব পুরসভায় ভোটের দাবি, কখনও আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে দরবার করেছে বিজেপি ৷ দলের নেতাদের একাংশ মনে করছে, মাঠে-ময়দানে নেমে রাজনৈতিক লড়াই করে তৃণমূলের মোকাবিলা করার বদলে আদালতের রায়ের উপরেই বেশি ভরসা করেছেন দলের নেতারা ৷ নীচু স্তরের কর্মীরাও আদালতের রায়ের অপেক্ষায় বসে থেকেছেন ৷
বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ আবার স্বীকারও করে নিয়েছে যে, পৌরভোটের জন্য এখন প্রস্তুতই ছিল না দল ৷ আর সেই কারণেই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে যেনতেন প্রকারে ভোট আটকানো বা পিছিয়ে দেওয়াই ছিল অন্যতম উদ্দেশ্য ৷ অথচ প্রাক 2019-পর্বে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মাঠে-ময়দানে নেমে লাগাতার আন্দোলন করেই মমতা বা তৃণমূল বিরোধী ভোটারদের আস্থা অর্জন করেছিল গেরুয়া শিবির ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এবার সেই রাজনৈতিক লড়াই থেকে সরে গিয়ে বিজেপি আইন আদালতে লড়াইয়ে যেভাবে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল, তা দেখে ভোটাররাও আর সম্ভবত তৃণমূলের বিরোধী শক্তি হিসেবে বিজেপির উপর আস্থা রাখতে পারেননি ৷