কলকাতা, 5 অগস্ট : পুজোর ছুটির পর রাজ্যে স্কুল-কলেজ খোলার চেষ্টা করা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ এদিন নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি একথা ঘোষণা করেন ৷ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার একদিন অন্তর ক্লাস করানো যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে ৷ করোনা আবহে বছর দেড়েক বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ ৷
মুখ্যমন্ত্রী এদিনেই এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, "আজ যে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী করলেন তাকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি ৷ অভিনন্দন জানাচ্ছি ৷ পুজোর ছুটির পর একদিন অন্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার যে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তাকে আমি সাদর অভিনন্দন জানাচ্ছি ৷ এই ভাবনা কোভিড বিধি মেনে কার্যে পরিণত হতে পারলে সমস্ত ছাত্রছাত্রীর মঙ্গল হবে ৷ তারা তৈরিই হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির অঙ্গনে ৷ গত দেড় বছরে তারা এর থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৷ এই ভাবনা বাস্তবে পরিণত হলে সামগ্রিক ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থারও মঙ্গল হবে ৷" সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা নিয়ে তিনি বলেন, "সরকার নিশ্চয় সমস্ত দিক ভেবেই পদক্ষেপ করবে ৷ তা করলে সমস্যা হবে না বলেই আশা করছি ৷ "
শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরা তাকে স্বাগত জানাচ্ছি ৷ এই বিষয়ে আমরা এর আগেও শিক্ষা দফতর-সহ বিভিন্ন জায়গায় জানাবার চেষ্টা করেছি যে শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে একটা সমাজ কোনও ভাবেই চলকতে পারে না ৷ পরিস্থিতি যখন খারাপ থেকেছে তখন এক রকম ছিল ৷ কিন্তু পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিকের দিকে যাচ্ছে সেই সময় আমরা অনুরোধ করেছি, আবেদন করেছি যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয় ৷ প্রথম দিকে বড়দের দিয়ে অর্থাৎ কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে একদিন অন্তর পঠন পাঠন চালু করা যেতেই পারে ৷ মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবনার কথা জানিয়েছেন সেটা যে সময়টা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে সে সময়ে তার বাস্তবায়ন করলে ভাল ৷ তবে তা যদি শুধুই কথার কথা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে মুশকিল ৷ এমনিতেও যেকোনও ভাবেই শুধু পাশ করিয়ে দেওয়ার ফলে শিক্ষার মান ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে ৷ তাই মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলছেন তা যদি কার্যকরী করেন তাহলে সেটাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি ৷"