কলকাতা, 5 জুলাই: রাজ্যের স্কুলগুলিতে 2013 সাল থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ প্রক্রিয়া (School Librarian Recruitment Process Stop from 2013 in West Bengal) ৷ এমনই অভিযোগ করা হল অল বেঙ্গল স্কুল লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ৷ ফলে দীর্ঘদিন লাইব্রেরিয়ানের অভাবে অধিকাংশ স্কুলের লাইব্রেরিতে তালাবন্ধ অবস্থায় নষ্ট হচ্ছে অসংখ্য বই ৷ এমনকী বহু স্কুলে লাইব্রেরি উঠে গিয়েছে স্থায়ী লাইব্রেরিয়ান না থাকায় ৷
এই চিত্র শুধু একটি বা দু’টি জেলার নয় ৷ একাধিক জেলার সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির এক অবস্থা ৷ শহরের স্কুলগুলির ক্ষেত্রেও অবস্থাটা খুব একটা আলাদা নয় ৷ এ ক্ষেত্রে কোথাও লাইব্রেরিয়ানের অভাব হলে স্কুলের কোনও একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা সেই অভাব পূরণ করছেন ৷ তবে, উৎসশ্রী পরিষেবা চালু যাওয়ার পর থেকে প্রান্তিক স্কুলগুলি থেকে শিক্ষকরা নিজেদের বাড়ির কাছে বদলি হয়ে গিয়েছেন ৷ ফলে প্রান্তিক এলাকার বহু স্কুলেই শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীও নেই, যাঁরা লাইব্রেরির দায়িত্ব সামলাবেন ৷
যদিও এগুলি বিকল্প ৷ মূল সমস্যা লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ না হওয়া ৷ 2013 সাল থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে বন্ধ হয়ে রয়েছে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ প্রক্রিয়া ৷ প্রায় 10 বছর হয়ে গেল কোনও নিয়োগই হয়নি স্কুল লাইব্রেরিয়ান পদে ৷ স্বাভাবিক ভাবেই স্কুলগুলিতে একাধিক শূন্যপদ পড়ে রয়েছে ৷
এ নিয়ে অল বেঙ্গল স্কুল লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশনের (All Bengal School Library Association) সভাপতি ড. অরূপ রতন দাস বলেন, ‘‘2013 সাল থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ প্রক্রিয়া ৷ অনেক স্কুলের লাইব্রেরিয়ান অবসর নেওয়ার পর সেই সব শূন্যপদ আজও খালি পড়ে রয়েছে ৷ তাই স্বাভাবিক ভাবেই বহু স্কুলে কর্মীর অভাবে কার্যত শিকেয় উঠেছে লাইব্রেরিগুলি ৷ এছাড়াও এমন বহু স্কুল আছে যেখানে কোনওরকমে স্কুলের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী দিয়েই চলছে কাজ ৷ তাই শুধুমাত্র লাইব্রেরির বইগুলিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ রাজ্য শিক্ষা দফতর এবং বিদ্যালয়ের পরিচালন বিভাগের সচেতনতার অভাবে বহু লাইব্রেরিয়ানের ইচ্ছে থাকলেও স্কুলের লাইব্রেরিতে পরিষেবা দিতে পারছেন না ৷ তাঁদের দিয়ে স্কুলের অন্যান্য কাজ করানো হচ্ছে ৷’’ তিনি অভিযোগ করেছেন, সংগঠনের তরফে শিক্ষা দফতরে একাধিকবার ডেপুটেশন জমা দেওয়া সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি ৷