কলকাতা, 25 নভেম্বর :পৌরভোট (West Bengal Municipal Election) নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই ৷ কিন্তু, যেভাবে বেছে বেছে একটি-দু’টি পৌরসভা বা পৌরনিগমে আলাদা আলাদাভাবে ভোট করানো হচ্ছে, তাতে আপত্তি রয়েছে ৷ কেন সবক’টি পৌরসভা এবং পৌরনিগমে এক দিনেই সেরে ফেলা হবে না ভোটপ্রক্রিয়া ? রাজ্যের আসন্ন পৌর নির্বাচনে নিয়ে একথা জানান বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu on West Bengal Municipal Election) ৷
আরও পড়ুন :BJP on KMC Election: মামলা ঝুলে থাকাকালীন পৌর নির্বাচনের নির্ঘণ্ট, হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ বিজেপির
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা পৌরনিগমের ভোটের নির্ঘণ্ট (Kolkata Municipal Corporation Election) ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস ৷ তিনি জানিয়েছেন, কোভিডবিধি মেনে আগামী 19 ডিসেম্বর ভোট হবে কলকাতায় ৷ তবে সেটা কি আদৌ সম্ভব ? কারণ, রাজ্যের সবক’টি পৌরনিগম ও পৌরসভায় একসঙ্গে ভোট করানোর দাবিতে ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপির এক নেতা ৷ বুধবার সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু, ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি ৷ তাই আইন মাফিক এদিন কলকাতা পৌরনিগমের জন্য ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণায় কোনও সমস্যা ছিল না ৷
এখন প্রশ্ন হল, আদালতে যদি সংশ্লিষ্ট মামলায় আবেদনকারীর আর্জি মেনে নেওয়া হয়, তাহলে কি ভেস্তে যাবে কলকাতার পৌরভোট ? আর সেটা হলে নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে ৷ সেক্ষেত্রে বিজেপি কি তার দায় এড়াতে পারে ? কারণ, রাজ্যের পৌরসভা এবং পৌরনিগমগুলির নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সেগুলিতে ভোট করানো হয়নি ৷ যা নিয়ে তৃণমূলের সরকারের উপর বিরোধীদের ক্ষোভও বিস্তর ৷ বিজেপিও বহুবার দ্রুত পৌরভোট করানোর পক্ষে সওয়াল করেছে ৷ তাহলে এখন মামলা কেন ?
গোটা রাজ্যে পৌরভোট করাতে হবে একদিনেই, দাবি সায়ন্তনের আরও পড়ুন :EC on Kolkata Municipal Election: চালু হয়ে গেল নির্বাচনী আচরণ বিধি, বড় মিটিং-মিছিলে আপত্তি কমিশনের
এই প্রসঙ্গে সায়ন্তনের বক্তব্য হল, তাঁরা মোটেও পৌরভোট করানোর বিরোধী নন ৷ কিন্তু, গোটা রাজ্যে বহু পৌরসভা ও পৌরনিগমেই বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে ৷ প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে ৷ তাহলে বেছে বেছে শুধুমাত্র কলকাতা বা হাওড়া পৌরনিগমে আগেভাগে ভোট করানোর কথা বলা হচ্ছে কেন ? সায়ন্তনের দাবি, ভোটের সময় যাতে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের এনে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা যায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা করেছে রাজ্যের সরকার ৷ নির্বাচন কমিশনও তাদের সুবিধা মতোই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করছে ৷ তারা আদতে শাসকদলের দাসে পরিণত হয়েছে ৷ তাই যদি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতেই হয়, তাহলে গোটা রাজ্যে সবক’টি পৌরসভা ও পৌরনিগমে একসঙ্গে ভোট করাতে হবে ৷