বিধাননগর, 8 অগাস্ট : সারদা চিটফাণ্ড মামলায় বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) ৷ ED-র তলবের একদিন পর CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন তিনি ৷
আজ দুপুর 2টা 15মিনিট নাগাদ CGO কমপ্লেক্সে আসেন শতাব্দী রায় ৷ ED আধিকারিকরা সাংসদকে টানা তিন ঘণ্টা জেরা করেন ৷ ED-র দপ্তর থেকে বেরিয়ে শতাব্দী রায় বলেন, "তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে চাওয়া নথিপত্র জমা করেছি ৷ সেই নথি খতিয়ে দেখা হবে ৷ তদন্তের স্বার্থে আবার ডাকা হলে আসব ৷"
সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে শতাব্দী রায় 29 লাখ টাকা পান । সেই টাকা ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে ED-কে চিঠি দিয়েছিলেন ৷ আজ ED-র জেরা শেষে তিনি বলেন, টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে কোনও কথা হয়নি ED-র সঙ্গে ৷
ভিডিয়োয় শুনুন শতাব্দীর বক্তব্য আরও পড়ুন : যাঁরা কাজ না করে টাকা নিয়েছেন, তাঁরাই ফেরত দিচ্ছেন ; শতাব্দীকে আক্রমণ কুণালের ?
প্রায় 14 মাস সারদার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন শতাব্দী রায় ৷ ED সূত্রের খবর, কী ভাবে তাঁর সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের যোগাযোগ হয়? কার মাধ্যমে যোগাযোগ হয়? তিনি মোট কত টাকা সুদীপ্ত সেনের থেকে নিয়েছিলেন? সেই টাকা কী ভাবে এবং কোন কোন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়েছিল? টাকার অন্য কোনও অংশীদার ছিল কি না? ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছাড়াও সারদা চিটফাণ্ডের সঙ্গে তাঁর অন্য কোনও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিল কি না, এ সমস্ত তথ্যই আজ বীরভূমের সাংসদের থেকে জানতে চান ED আধিকারিকরা ৷
গতকাল শতাব্দী রায়কে CGO কমপ্লেক্সে হাজিরার জন্য তলব করে ED ৷ কিন্তু তার পরিবর্তে সাংসদ আজকে ED দপ্তরে হাজির হন ৷ নিজের দেরি প্রসঙ্গে শতাব্দী রায় বলেন, সংসদ চলার কারণেই তিনি সময়মতো হাজিরা দিতে পারেননি ৷ এর আগেও জুলাইয়ে শতাব্দী রায়কে দু'বার তলব করে ED ৷ জবাবে সারদার টাকা ফেরত দিতে চেয়ে ED-কে চিঠি পাঠান সাংসদ ৷