কলকাতা, 3 জুলাই : ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের যোগদান করানো যে ভুল হয়েছিল, তা ভোটের পর টের পাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ৷ একই মত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস-এরও (RSS) ৷ তাই তারা চাইছে আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গে দলের নেতৃত্ব এমন নেতাদের হাতে থাকা উচিত যাঁরা সঙ্ঘ থেকে এসেছেন বা সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ বিষয়টি তাই ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে ৷ এই বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ৷ গেরুয়া শিবির সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷
ওই সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে আরএসএস বিধানসভা ভোটে হারের ময়নাতদন্ত করে ফেলেছে ৷ সেখানে সামনে এসেছে যে ভোটের আগে বিজেপির কাজে আরএসএস-এর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না ৷ যাকে খুশি দলে নেওয়া হয়েছে ৷ অন্য দল থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের যাচাই না করেই সাংগঠনিক পদ দেওয়া হয়েছে ৷ এমনকি, 148 টি কেন্দ্রে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের প্রার্থী করা হয়েছে ৷ তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন জিতেছেন ৷ এতে পুরনো বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন ৷ তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিজেপির থেকে ৷
আরও পড়ুন :সুদীপ্ত সেনের চিঠি টুইট করে সারদায় শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি কুণালের
আরএসএস-এর মুখপত্র স্বস্তিকার প্রাক্তন সম্পাদক রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, "তৃণমূল পরিকল্পনা করেই করেই বিজেপিকে হারিয়েছে । সেটা বিজেপি বুঝতে পারেনি । তৃণমূল ভোটের আগে শয়ে শয়ে তাদের কিছু সক্রিয় কর্মীকে বিজেপিতে পাঠিয়ে দিয়েছিল । আর তাঁরা বিজেপিতে থেকেই বিজেপির ক্ষতি করেছেন । আর তৃণমূলকে বিজেপির পরিকল্পনা সব জানিয়ে দিয়েছেন ৷"
আরএসএসের শীর্ষ নেতৃত্ব সংগঠনের বঙ্গ নেতৃত্বের কাজে খুশি নয় বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে ৷ বিজেপির এই পরিস্থিতি দেখেও কেন তারা চুপ ছিল, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ এই রাজ্যে আরএসএস-এর প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন প্রদীপ যোশী ৷ তাঁর কাছে এই নিয়ে জবাব চাওয়া হয় ৷ তিনি নাগপুরে দলের সদর দফতরে তিনি রিপোর্ট জমা দেন ৷ তার পরই নড়েচড়ে বসে নাগপুরের নেতৃত্ব ৷